বারাসত: পঞ্চম দফার নির্বাচন শেষ হতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখা বিধানসভার প্রার্থীর গাড়ি ভেবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে উত্তপ্ত মিনাখা বিধানসভার কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরনো কামারগাতী। জানা গিয়েছে, এলাকার । তৃণমূলের বুথ এজেন্ট আতিয়ার মোল্লা বাড়িতে যান মিনাখাঁর টিএমসি ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল ও নেতা অতনু সরদার। এর পরেই হামলার ঘটনা ঘটে।
পুরনো কামারগাতী এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি ভেবে দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও বোমা চালায়। সেখান থেকে কোনওরকম ভাবে ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে মেছো ভেরিতে পড়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচান। পাশে থাকা অন্যান্য তৃণমূল নেতারা গাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গাড়িটি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনি ও কেন্দ্র বাহিনি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। গাড়িটি উদ্ধার করে মিনাখা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
পাশাপাশি হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার সেন্ডেল বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেটকি ১২৫ নম্বর বুথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রবিবার সকালে বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এই দুই ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেছেন, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক প্রকৃত দোষী কারা। তদন্তে উঠে আসবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত। জেলার অন্যত্র থেকেও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর আসছে।
১৭ এপ্রিল থেকে বাকি সবকটি দফার নির্বাচন যাতে নির্বিগ্নে হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে কমিশন। বুথ এবং বুথ চত্বর সংলগ্ন জায়গায় ওহ্যাচিত জমায়েত রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি আছে এমন এলাকার বাইরেও ভিড় এড়াতে প্রয়োজনে নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত এলাকা ফাঁকা করে দেবে। দরকারে রাজ্য পুলিশ লাঠি চালিয়ে অযাচিত ভিড় হঠাতে অপেরেশনে নামবে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা এবারের নির্বাচনে নজর দিচ্ছেন শান্তিতে নির্বাচন করতে। পাশাপাশি সবাই যাতে করোনা বিধি মেনে নির্বাচনে অংশ নেয় সেটা সুনিশ্চিত করতে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.