মমতা কবে হুইলচেয়ার ছেড়ে চেনা ছন্দে মঞ্চ মাতাবেন, নিজেই জানালেন সম্ভাব্য দিন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নন্দীগ্রামের ভোটে চোট পেয়েছিলেন পায়ে। তারপর থেকে গোড়ালির চোট নিয়ে হুইলচেয়ারের ভরসায় তিনি গোটা বাংলা চষে বেড়াচ্ছেন। রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায় নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন কবে তাঁর পা প্লাস্টার-মুক্ত হবে।

এবার প্লাস্টারটা কেটে দিন, আর্জি মমতার

মমতা বলেন, আমি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেছিলাম প্লাস্টার কেটে দিতে। বলেছিলাম, এই প্লাস্টার করা পা নিয়েই নির্বাচনী প্রচার করতে হচ্ছে বাংলার একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে। অনেকদিন তো হল, এখন একটু ভালো অনুভব করছি। এবার প্লাস্টারটা কেটে দিন। কিন্তু রাজি হলেন না চিকিৎসকরা।

এখন ন-দিন তাঁর কোনও ফুরসৎ নেই

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর এদিন ইঙ্গিত দেন তাঁর পায়ের প্লাস্টার কবে কাটা হবে। তিনি জানান ডাক্তাররা বলেছেন, এখনও সাতদিন প্লাস্টার রাখতে হবে। তাই সাতদিনের আগে পায়ের প্লাস্টার কাটা হচ্ছে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এখন ন-দিন তাঁর কোনও ফুরসৎ নেই। তাঁকে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে হবে নির্বাচনী প্রচারে।

প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পরই প্লাস্টার কাটবেন মমতা!

তাই ৯ দিন পর তাঁর প্লাস্টার কাটা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল ভোট প্রচার শেষেই তিন পায়ের প্লাস্টার কাটবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েই রাখলেন। উল্লেখ্য ২৯ এপ্রিল বাংলায় শেষ দফার ভোট। অষ্টম দফা ভোট প্রচারের শেষ দিন ২৬ এপ্রিল। অর্থাৎ প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা প্লাস্টার মুক্ত হবে।

সেই চেনা ছবি এবার ভোটে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে প্রচার চলাকালীন পায়ে চোট পান। তারপর কলকাতায় ফিরে এলে তাঁর পায়ে প্লাস্টার করা হয়। সেই প্লাস্টার করা পায়েই তিনি প্রচার করছেন। হুইলচেয়ারে করে তিনি প্রচারে যাচ্ছেন। ফলে স্বাভাবিক ছন্দে তাঁকে বক্তৃতা করতে দেখা যাচ্ছে না। সাধারণত মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পদচারণা করেই তিনি বক্তৃতা করেন। সেই চেনা ছবি এবার ভোটে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।