নয়াদিল্লি: কুম্ভ মেলা থেকে ফিরলেই এবার কোয়ারেন্টাইন বাধ্য়তামূলক করল দিল্লি সরকার। দেশজুড়ে করোনা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার এই নির্দেশ জারি করেছে দিল্লি সরকার।

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুম্ভ মেলাতেও দ্রুত ছড়িয়েছে সংক্রমণ। তাই হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা থেকে যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই নির্দেশ বাধ্যতামূলক। যদি কেউ এই নির্দেশের অমান্য করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ৪ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত যারা কুম্ভ মেলায় গিয়েছেন তাঁদের দিল্লি সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে বলা হয়েছে। নোটিস জারি হওয়ার ২৪ দিনের মধ্যেই এই তথ্য দিতে হবে।

BREAKING:
Delhi Govt makes home quarantine of 14 days mandatory for Delhi residents who visited the the Kumbh Mela in Haridwar. Violators to face legal action. pic.twitter.com/iTR9nqiuhR

— Rohit Kumar Mehraulia MLA (@KumarMehraulia) April 17, 2021

শুধু দিল্লি নয়। এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে। কুম্ভ মেলায় যেভাবে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে, তার দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত। করোনা পরিস্থিতিতে কুম্ভ মেলাকে প্রতীকী করার আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এবার যেন করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই প্রতীকী ভাবে কুম্ভমেলা পালন করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর পূজ্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজির সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছি। সমস্ত সন্তদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে সন্ন্যাসীরা সহযোগিতা করছেন। এর জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

এরপরই শনিবার জুনা আখাড়ার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এই খবর জারি করা হয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কুম্ভ মেলায় আর তারা অংশ নেবে না। জুনা আখাড়ার মহামন্দালেশ্বর স্বামী অবদেশানন্দ গিরি টুইটারে জানিয়েছেন, মানুষের সুস্থ থাকা তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা যেভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তার দিকে তাকিয়েই জুনা আখাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আর কুম্ভ মেলায় অংশ নেবে না। সূত্রের খবর, মেলা যোগ দেওয়া অন্যান্য আখাড়াও মেলা থেকে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।