রায়পুর : করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় কাবু গোটাদেশ। এরই মধ্যে ফের বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে জেরবার ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের একটি কোভিড হাসপাতাল। শনিবার সসন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি রোগীদের দ্রুত অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই আগুল লাগার ঘটনাটি ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় কারও কাছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। জোরকদমে চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় রাজধানী শহর রায়পুরের ওই কোভিড হাসপাতালে হঠাৎ করেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মোট ৫০ জন করোনা সংক্রমিত রোগী।
দমকল কর্মীরা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে পাশের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। তবে তাঁর আগেই ৪ জন রোগী প্রাণ হারান। আরও বেশ কয়েকজন রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পাশের হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। যদিও আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, শট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এর আগেও মুম্বইয়ের শপিংমলের ভিতরে করোনা হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত প্রাণ হারিয়েছিলেন ১০ জন৷ মার্চ মাসের সেই ঘটনার স্মৃতি উসকে দিয়ে ফের একমাসের মধ্যে কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৪ জন।
একদিকে মারণ করোনার থাবায় বিপর্যস্ত অবস্থা। তার উপর খোদ কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়ার অবস্থা রায়পুর প্রশাসনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।
অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই ছত্তিশগড়ের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই রাজ্যেও হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় বড় কোনও বিপর্যয় এড়াতে গোটা রায়পুরে আজ থেকে ১০ দিনের জন্য কনটেইন্টমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষকে আরও কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.