বুথেই মৃত্যু বিজেপির পোলিং এজেন্টের
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির ১০৭ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন তিনি। মৃত ওই ব্যক্তির নাম অভিজিৎ সামন্ত। শনিবার সকাল অর্থাৎ ভোট গ্রহণ শুরুর কিছু আগেই পৌঁছে যান বুথে। এরপর কিছুক্ষণ পর থেকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হঠাত করে সুরু হয় বমি। অভিযোগ, সেখানে উপস্থিত ভোট কর্মীরা অর্থাৎ অন্যদলের পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসাররা বিষয়টি দেখলেও প্রথমে গুরুত্ব দেননি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা অভিজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
প্রশ্নের মুখে কমিশনের ভূমিকা
ঘটনার পড়েই প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের মুখে। বুথের মধ্যে এই ঘটনা হওয়ার পরেই কেউ সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। বুথের মধ্যে পোলিং অফিসার, নির্বাচনি আধিকারিকরা থাকা স্বত্বে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় অনিশ্চয়তার মুখে বিজেপি। নতুন করে কাউকে ওই বুথের বিজেপির এজেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ওই বুথে ভোট গ্রহণ পর্ব।
পকেট সার্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর
এদিন কামারহাটির ১৬৫/১৬৬ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে বাধা দেয়। তাঁক পকেটও সার্চ করে। এতেই চটে যান তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। সেখানে তিনি বলেন, মাই নেম ইজ মদন মিত্র। পাল্টা প্রশ্ন করেন, কাকে ভয় দেখাচ্ছো, মদন মিত্রকে? পকেট সার্চ করছ? তাঁর পকেট থেকে বেরিয়ে আসে একাধিক দেবদেবীর ছবি। মদন মিত্র বলেন, এটা গণতান্ত্রিক দেশ। তিন বিষয়টি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
মদন মিত্রের পকেটে ভোট
মদন মিত্র বলেন. তাঁর পকেটে ভোট রয়েছে। কিন্তু অন্য কোনও নেতার পকেটে তা নেই। তিনি বলেন, মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গতবারের ফলাফল নিয়ে মদন মিত্র বলেন, গতবার টিম ছিল, জার্সি ছিল, কিন্তু ক্যাপ্টেন ছিল না। এবার ক্যাপ্টেন ময়দানে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী মদন মিত্র জানিয়েছেন, তৃণমূল দুই-তৃতীয়াংশের দিকে এগিয়ে চলেছে।
'হেভিওয়েটে'র প্রতিক্রিয়া
হেভিওয়েট প্রার্থীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। তার উত্তরে মদন মিত্র বলেন. তাঁর ওজন ৭৫ কেজি। সেটা হেভি না লাইট টা তিনি বলতে পারবেন না। তবে তিনি বলেন ৭২ বলে ভাল হতো। এরপর মদন মিত্র ভোট দেন কাছেরই এক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য মদন মিত্র আদতে ভবানীপুরে বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কামারহাটির ভোটার। ২০১১ সালে তিনি কামারহাটি থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ২০১৬-তে তিনি হেরে যান মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে।