মুম্বই : করোনার সেকেন্ড ওয়েভে হাবুডুবু খাচ্ছে দেশ। সংক্রমণ রুখতে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ট্যাংকারগুলিতে পর্যাপ্ত তরল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য রেলের কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রধান সচিব।
শনিবার রাজ্য সচিবের সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে আইএসটি ভারতীয় রেলওয়ের তরফে ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কারে করে তরল অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তার জন্য মহারাষ্ট্রের প্রধান সচিবের অনুরোধকে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে ‘রোল অন’ এবং ‘রোল অফ’ পরিষেবার মাধ্যামে রেলের এই ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কারগুলিতে করে সারা মহারাষ্ট্র রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা করতে সিলিন্ডারে করে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করবে ভারতীশ রেল। যদিও এই পরিষেবা প্রদানের সমস্ত খরচা বাবদ টাকা রাজ্যকেই বহন করতে হবে বলে জানা গিয়েছে ।
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল গোটাদেশ। সবেথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। এই অবস্থায় এই রাজ্যের করোনা আক্রান্ত রোগীদের তরল অক্সিজেন সরবরাহ করতে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে রেল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রেলের তরফে ক্রায়োজেনিক পাত্রে তরল মেডিকেল অক্সিজেন পরিবহনের জন্য সবুজ সংকেত মিলেছে। তারপরই গোটা রাজ্যজুড়ে এই তরল মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এর পরিষেবা বাবদ রেলের তরফে কত টাকা চার্জ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তবে এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই’ জানিয়েছে, রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “রোল অন- রোল অফ” প্রকল্পের মাধ্যমে তরল অক্সিজেন ভরতি রেলের ট্যাংকারগুলির সঙ্গে মোট দুজন কর্মচারী যাবেন। তাঁরাই ওই ট্যাংকগুলি খালি করার কাজ করবেন। এরজন্য তাঁদের সেকেন্ড ক্লাসের টিকিট দেওয়া হবে। তবে ট্যাংক খালি করে ফেরার পথে আলাদা করে চার্জ কাটা হবে।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে অক্সিজেনের ঘাটতির সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। এই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়েও চিঠি লিখেছিলেন। বিষয়টি যাতে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে দেখেন সেই অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১৫ এপ্রিল থেকে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ মে সকাল ৭ তা পর্যন্ত কারফিউ কার্যকর থাকবে। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গোটা মহারাষ্ট্রে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হলেও তা কেবলমাত্র এমার্জেন্সি কারণেই ব্যবহার করা হবে। রাজ্যের সমস্ত দরিদ্র মানুষের পরিবারে ৩ কেজি গম ও ২ কেজি চাল পৌঁছে দেবে সরকার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.