পশ্চম দফার ভোট
আজ রাজ্যে ভোট পঞ্চমী। পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ চলছে। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া তেমন বড় কোন অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। রাজ্যের ৪৫টি কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ। নজির বিহীন নিরাপত্তায় হচ্ছে ভোট গ্রহণ। কলকাতা সংলগ্ন কয়েকটি জায়গাতে ভোট রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তেমন অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। এক দিকে যখন ভোট চলছে। তখন অন্যদিকে চলছে ষষ্ঠ দফার ভোটের প্রচার।
দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি
পঞ্চম দফার ভোটে ফের দেগঙ্গায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বািহনীর বিরুদ্ধে। এবার শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনই অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। দেগঙ্গার চাকলা গ্রামের কুড়ুলগাছার ২১৫ নম্বর বুথের বাইরে জমায়েত হঠাতে গিয়ে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।তাঁরা অভিযোগ করেছেন বুথ থেকে ৫০০ -৭০০ মিটার দূরে আমবাগানের মধ্যে বসে তাঁরা গল্প করছিলেন। সেসময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের সেখান থেকে সরে েযতে বলেন। কিন্তু তাঁরা যেতে রাজি না হওয়া শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আতঙ্কে সেখান থেকে পালাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
রিপোর্ট তলব কমিশনের
শীতল কুচির ঘটনার পর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে একটু বেশি তৎপর নির্বাচন কমিশন। দেঙ্গায় গুলি চালানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রিপোর্ট তলব করে কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে তাঁরা গুলি চালাননি। গ্রামবাসীদের দাবি তাঁরা শান্তিপূরণ ভোট গ্রহণের পরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে ৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গুলি চলানর অভিযোগ খারিজ
দেগঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়নি। রিপোর্ট হাতে পাবার সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কোনও ভাবেই এই বিষয়ে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চাইছে না কমিশন। শীতলকুচির ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে আর কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল।