করোনা ঠেকাতে প্রতীকী হিসাবে উদযাপন হোক কুম্ভ মেলা, শীর্ষ আখাড়াগুলির কাছে আর্জি প্রধানমন্ত্রীর

কুম্ভ মেলায় ছড়াচ্ছে করোনা আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই মেলায় উপস্থিত ৩০ জন সাধু কোভিড পজিটিভ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুম্ভ মেলার শীর্ষ সন্ন্যাসীদের আবেদন করেছেন যে চলমান এই মেলার '‌প্রতীকী’‌ ভাবে উদযাপন করা হোক, কারণ মেলায় আসা অধিকাংশ মানুষ সহ সাধুরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মোদী আরও জানিয়েছেন যে কুম্ভে প্রতীকীভাবে যোগদান এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে।

প্রতীকী রূপে উদযাপন

টুইটারে প্রধানমন্ত্রী স্বামী ‌অবদেশানন্দ গিরিকে আর্জি জানিয়েছেন যে করোনা সঙ্কটের মধ্যে এই তীর্থযাত্রাটি যেন প্রতীকী রূপে উদযাপন করা হয়। কুম্ভের ১৩টি আখাড়ার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ আখাড়া হল মহামণ্ডলেশ্বর জুনা আখাড়া, যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বামী অবদেশানন্দ গিরি। প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের পরই তিনি পুণ্যার্থীদের পরবর্তী শাহি স্নান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণের মধ্যে হরিদ্বারে কুম্ভ মেলা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারকে। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ।

করোনায় মৃত্যু কপিল দেব দাসের

বৃহস্পতিবার মহামণ্ডলেশ্বরের শীর্ষ সাধু নির্বানি আখাড়ার কপিল দেব দাসের (‌৬৫)‌ করোনায় মৃত্যুর পরই মোদী ফোন করেন আদেশানন্দ গিরিকে। কপিল দেব দাসের মৃত্যুর পরই নিরাঞ্জনী ও আনন্দ আখাড়া ঘোষণা করেন যে তাঁরা কুম্ভ মেলা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোদী জানিয়েছেন যে প্রশাসনের সঙ্গে সব সাধুরাই সহযোগিতা করছেন এবং তাঁদের এই সহযোগিতার কারণে মোদী তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মোদীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে স্বামী আদেশানন্দ মেলায় বিপুল সংখ্যায় পুণ্যার্থীদের অংশ নিতে নিষেধ করেন।

অসন্তুষ্ট অন্য আখাড়াগুলি

নিরাঞ্জনী আখাড়া ঘোষণা করেন যে কুম্ভ মেলা থেকে তাঁরা সরে যাচ্ছেন তবে অন্য আখাড়া গুলি একটু অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে। দিগম্বর, নির্বাণী এবং নির্মোহী এই তিন বৈরাগী সেক্টর জানিয়েছে যে নিরাঞ্জনী ও আনন্দ আখাড়ার কোনও অধিকার নেই কুম্ভ মেলা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার। একদিকে ১৪ এপ্রিল তৃতীয় শাহি স্নানকে সন্ন্যাসীরা সবচেয়ে উঁচু মর্যাদা দিতে চাইছেন, অন্যদিকে বৈরাগী মণ্ডলীদের কাছে রাম নবমী (‌২১ এপ্রিল)‌ এবং চতুর্থ শাহি স্নান (‌২৭ এপ্রিল)‌ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কুম্ভ মেলা একমাসের জন্য

কুম্ভের শীর্ষ পরিষদ অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ এই বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছে কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না তারা। ১৪ এপ্রিল বৈশাখি শাহি স্নানের দিন, যা কুম্ভের সবচেয়ে পবিত্র বলে মানা হয়, ওইদিন পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়েছে ৯,৪৩,৪৫২ জন। মহামারির কারণে এ বছরের কুম্ভ মেলা ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র একমাসের জন্য হচ্ছে। সাধারণ পরিস্থিতিতে এই কুম্ভ মেলা ১২ বছরে একবার হয়, যা জানুয়ারির মধ্য থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে।

করোনার জের, সপ্তাহান্তেবন্ধ থাকবে জগন্নাথদেবের মন্দিরের দরজা

Know all about
নরেন্দ্র মোদী