এলাহাবাদ : দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ। ক্রমে পরিস্থিতি হয়ে উঠছে উদ্বেগজনক। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলায় করোনা সংক্রমণ এড়াতে ‘প্রতীকী কুম্ভমেলা’ পালনের আরজি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

শনিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এবার যেন করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখেই প্রতীকী ভাবে কুম্ভমেলা পালন করা হোক।”

তিনি আরও বলেন, “আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর পূজ্য স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজির সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছি। সমস্ত সন্তদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনের সঙ্গে সন্ন্যাসীরা সহযোগিতা করছেন। এর জন্য আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

উল্লেখ্য, সংক্রমণ রুখতে জমায়েতে বারবার রাশ টানার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এরকম অতিমারি পরিস্থিতিতেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে চলছে কুম্ভমেলা। সেখানে বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীর শরীরে কোভিডের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে সন্তদের মধ্যেও দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।

অন্যদিকে দেশে সুনামির মত আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাগাতার বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্তের নিরীখে ভারত আবার নতুন রেকর্ড তৈরী করল। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জনের শরীরে। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯ জন। কোরোনার বলি হয়েছে ১ হাজার ৩৪১ জন। যা শুক্রবারের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি।এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬৫০জন মানুষ করোনার বলি হয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৫৪ জন। এইমুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৪০জন। এখনও পর্যন্ত কোভিড টিকা পেয়েছেন দেশের ১১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৪১ জনকে। তবে সংক্রমণ তাতেও রোখা যাচ্ছে না।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রবিবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। প্রথমবার মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লে জরিমানা দিতে হবে ১০০০ টাকা এবং দ্বিতীয়বার মাস্ক ছাড়া ধরা পড়লেই এই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার টাকা।শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া যাবতীয় পরিষেবা বন্ধ থাকবে।মহারাষ্ট্রে ১৫ ই এপ্রিল থেকে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউ জারি করেছেন। শনি ও রবিবার রাত ১০ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ । পাশাপাশি, বন্ধ করে দেওয়া হবে স্পা, জিম, শপিং মল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।