শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : শুক্রবার রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের জন্য আসার কথা ছিল সিপিএম দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির। শনিবার তাঁর উত্তর ২৪ পরগনায় নির্বাচনী সভা করার কথা ছিল। তবে সীতারাম ইয়েচুরি আপাতত রাজ্যে আসছেন না । তিনি আপাতত কোয়ারান্টিনে আছেন। তবে সিপিরেম সূত্রে জানা গেছে পরিস্থিতি বুঝে কলকাতায় নির্বাচনী প্রচারে আসতে পারেন সীতারাম ইয়েচুরি। সে ক্ষেত্রে অল্প কিছু মানুষের সমাগমে তিনি বক্তব্য রাখতে পারেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার জন্য রাজ্যে নির্বাচনী বড় সভা ও রোড শো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম সহ বাম দলগুলি।

এদিকে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। তাতে আগামী চার দফা নির্বাচন সুচির কোনও রদবদল করা হয়নি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের এই ব্যাপকতা মাথায় রেখে কমিশনের তরফে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত মিছিল, সভা করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে। বাকি সবকটি দফার নির্বাচনের জন্য প্রচার বন্ধ করা হয়েছে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই।

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার উত্তরবঙ্গে সভা করে গেছেন। সর্বভারতীয় কংগ্রেস-এর সভাপতি কে সি বেণুগোপাল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের ফোনে করে জানতে চেয়েছেন রাহুলগান্ধীর কোনও কর্মসূচি রাজ্যের নেতারা চাইছে কি না। প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীর সভা হলে ভিড় হবে তাই নেতৃত্ত্ব চাইছে না রাহুল গান্ধীকে দিয়ে আর নির্বাচনী সভা করতে। তবে এই বিষয়টি প্রদেশ নেতৃত্ব এআইসিসি-র ওপর ছেড়ে দিয়েছে।

রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী প্রচারে মানুষের মধ্যে মাস্ক বিলি করেছেন। তবে বাম, কংগ্রেসের প্রচার কোরোনার জন্য সেইভাবে না হলেও বিজেপি ও তৃণমূলের প্রচার পুরোদমেই চলছে। সিপিএম-এর তরফে প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বড় সভা ও রোড শো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে সীতারাম ইয়েচুরি ও রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী সফর বাতিল হওয়ার পর তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে, ওদের সভায় ভিড় হচ্ছে না, তাই ওরা আর রাজ্যে প্রচারে আসছেন না।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।