স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিধাননগর এলাকার রাজনীতিতে সুজিত বসুর উত্থান অনেকের জানা। একদা বাম রাজনীতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন সুজিত। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিমে যোগ দেন সুজিত। সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে বিধাননগরে উপনির্বাচনে তাঁর স্ত্রী রমলা চক্রবর্তীকে হারিয়ে প্রথমবার বিধায়ক হন সুজিত বসু। ২০১১, ২০১৬ – ঘাসফুলের প্রতিনিধি হয়ে জোড়া জয়ের মুখ দেখেছেন। সামনে হ্যাটট্রিকের হাতছানি।
নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় নিজের মোট সম্পত্তির পরিমান তুলে ধরেছেন সুজিত বসু। সেই তালিকায় চোখ রাখতেই চক্ষু চড়ক গাছ অনেকের। একাধিক, জমি, ফ্ল্যাট, হিরে, সোনা সহ প্রায় সাড়ে ছয় কোটির মালিক তিনি।
সুজিতের হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১২ টাকা। তাঁর স্ত্রী স্বর্ণালীর হাতে নগদ রয়েছে ১ লাখ ৪৯ টাকা। এসবিআই, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় স্থায়ী আমানত এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে মোট ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৩২ টাকা রয়েছে তাঁর। স্ত্রীর নামে ব্যাঙ্কে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৩৫১ টাকা। সুজিত বসুর জীবন বিমায় রয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ৭৮৯ টাকার। ওদিকে স্ত্রীর ডাকঘরে মোট সঞ্চয় ২ লাখ ৪ হাজার ৮০৬ টাকা। সঙ্গে তাঁরও রয়েছে একটি জীবনবিমা৷ শেয়ার বাজারে সুজিতের বিনিয়োগ ১ লাখ ৭২ হাজার ৯২৫ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর বিনিয়োগ ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা।
তবে সঞ্চয়ের পাশাপাশি হলফনামায় সুজিত জানিয়েছেন, বিভিন্ন সংস্থা ও একাধিক ব্যক্তিকে ধারও দিয়েছেন তিনি। তারও পরিমান কিছু কম নয়। সবমিলিয়ে ৪৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮২ টাকা বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির কাছে তাঁর পাওনা। অন্যদিকে, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের কাছে মোট ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯২১ টাকার ঋণ রয়েছে সুজিতের। সুজিতের স্ত্রীর ঋণ রয়েছে মোট ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৭৭ টাকার।
সুজিত এবং তাঁর স্ত্রীর মোট ৩টি গাড়ি রয়েছে। সুজিতের রয়েছে টয়োটা ইনোভা এবং একটি স্করপিও। ২০১৪ সালে প্রথম গাড়িটি ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকায় কিনেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় গাড়িটি ২০১৯ সালে ১৫ লাখ ৩ হাজার ১১১ টাকায় কেনেন। তাঁর স্ত্রীর রয়ছে একটি টাটা সাফারি। ২০১০ সালে যেটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৫১ টাকায় কিনেছিলেন।
সুজিত বসুর কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ১৮০ গ্রাম এবং হিরে রয়েছে প্রায় ৫০০ গ্রাম। সেগুলি সহ মূল্যবান জিনিস মিলিয়ে মোট ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪ টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। অন্য দিকে স্ত্রীর প্রায় ৫০০ গ্রাম সোনার গয়না এবং ৫০০ গ্রাম হিরের গয়না রয়েছে। যার মূল্য ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৩ টাকা।
সুজিত ও তাঁর স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে যথাক্রমে ১ কোটি ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং ৬০ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে ৩০০ বর্গফুটের একটি দোকান, দুটি ফ্ল্যাট এবং স্ত্রী-র নামে রয়েছে দুটি দোকান এবং একটি জমি। সবমিলিয়ে যার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্থাবর-অস্থাবরের হিসেবে সুজিত ও তাঁর স্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমান দাঁড়াচ্ছে যথাক্রমে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৫ টাকা এবং ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৬ টাকা। তবে তাঁদের দুজনেরই রয়েছ মোটা টাকার ঋণ। সুজিতের মোট ঋণ ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯২১ টাকা এবং স্ত্রীর মোট ঋণ ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৭৭ টাকা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.