পাঞ্জাব কিংস ম্যাচের আগে ভারতীয় পেসারের চোট চিন্তায় রাখছে দিল্লি ক্যাপিটালসকে

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে জয় দিলে আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচেই পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসকে। পূর্ণশক্তির দল নামাতে না পারাও যে পরাজয়ের অন্যতম কারণ তার ইঙ্গিত দিয়েছেন রিকি পন্টিং।

পূর্ণশক্তি ছাড়াই

দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার অ্যানরিক নর্টজে করোনা আক্রান্ত। তিনি কবে খেলার জন্য প্রস্তুত হবেন তা এখনই স্পষ্ট নয়। গতকালের ম্যাচে কাগিসো রাবাডা প্রথম খেলতে নেমে ছন্দে থাকার ইঙ্গিতই দিয়েছেন। চার ওভারে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন ৩০ রানের বিনিময়ে। তবে টম কারান ৩.৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করলেও উইকেট পেতে ব্যর্থ। ক্যাপিটালসের হয়ে ক্রিস ওকস ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তবু পূর্ণশক্তির বোলিং আক্রমণ নিয়ে এখনও নামতে পারেনি রিকি পন্টিংয়ের প্রশিক্ষণাধীন দল।

ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল

সুযোগের সদ্ব্যবহার আবেশের

১৪৭ রানের পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমেও ২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ হেরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। পন্টিং জানিয়েছেন, ইশান্ত শর্মার গোড়ালিতে চোট রয়েছে। সে কারণে তাঁকে প্রথম দুটি ম্যাচে নামানো যায়নি। তবে আবেশ খান দলে সুযোগ পাওয়াকে পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন। আবেশের মতো একজন ভারতীয় পেসার থাকলে ওকস, নর্টজে, রাবাডা, কারানের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজানো সহজ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, এই ম্যাচেও সেরা বোলিং করেছেন আবেশ। চার ওভারে ৩২ রান খরচ করে তুলে নিয়েছেন শিবম দুবে, বিপজ্জনক ও সর্বাধিক রান করা ডেভিড মিলার ও রিয়াগ পরাগের উইকেট। প্রথম ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনির উইকেট পাওয়াও তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল। দুটি ম্যাচ খেলে আবেশের উইকেটসংখ্যা ৫। পন্টিং মনে করেন, আইপিএলের আগে নিজের ওজন কমানোর পাশাপাশি আগের চেয়ে বেশি গতিতে বল করছেন আবেশ। বোলিং অ্যাকশন ভালো হয়েছে, সছিক লাইন, লেংথে বোলিং করছেন। বলে বৈচিত্র্যও রয়েছে। আইপিএলের আগে ভারতীয় দলের সঙ্গে থাকায় সমৃদ্ধ হয়েছেন বছর ২৪-এর এই পেসার।

ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল

ইশান্তকে নিয়ে চিন্তা

যদিও ইশান্তকে নিয়ে চিন্তা থাকছেই। 'অ্যাবডমিনাল মাসল টিয়ার'-এর কারণে গত আইপিএলে একটি ম্যাচ খেলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান ইশান্ত। অস্ট্রেলিয়া সফরেও খেলতে পারেননি। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি ২০-তে মাঠে ফেরেন, পাঁচ উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার টেস্টের সিরিজে তুলে নেন ছটি উইকেট। আইপিএলের পর ইংল্যান্ডে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ টেস্টের সিরিজ রয়েছে। গোড়ালির চোটের কী অবস্থা তা পন্টিং পুরোপুরি খোলসা না করলেও এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস অভিজ্ঞ ভারতীয় পেসারের সার্ভিস কতটা পাবে তা নিয়ে চিন্তা থাকছেই।

ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল

বড় ভুল

রবিচন্দ্রন অশ্বিনের চার ওভারের কোটা শেষ না করানো এই ম্যাচে বড় ভুল হয়েছে বলে মনে করছেন পন্টিং। অশ্বিন ৩ ওভারে ১৪ রান খরচ করেছিলেন, একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেননি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। যদিও তাঁকে বোলিং না করিয়ে ত্রয়োদশ ওভারে মার্কাস স্টইনিসকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক পন্থ। স্টইনিস ১৫ রান দেন। শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫৮ রান। চারটি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করে ম্যাচ বের করে দেন ক্রিস মরিস। পন্টিং বলেন, ১৩ ওভার অবধি আমাদের বোলিং পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগোচ্ছিল। অশ্বিন আগের ম্যাচে ভালো বোলিং না করলেও নিজের খামতি দারুণভাবে মিটিয়ে নেওয়ায় এই ম্যাচে একটিও চার বা ছয় হজম করেননি। তাই তাঁকে আরেকটা ওভার না দেওয়া ভুল হয়েছে। শেষের দিকে সঠিক লাইন ও লেংথে আমরা বোলিং করতে পারিনি। কয়েকটা ইয়র্কার ফেললেই মরিসের কাজ সহজ হতো না। রবিবার পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসের পরবর্তী ম্যাচ।

ছবি- বিসিসিআই/আইপিএল