বাঙালি মানেই মিষ্টির প্রতি একটা আলাদা দুর্বলতা আছে । মিষ্টি খেতে আমরা কম বেশি সকলেই ভালোবাসি। পুজো থেকে বিয়ে, জন্মদিন থেকে গৃহপ্রবেশ, পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর দিন থেকে নতুন পাওয়া চাকরি। বাঙালির কোনো অনুষ্ঠানই মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। আর মিষ্টির কথা বললে বাঙালি মননে সবার আগে যে মিষ্টির ছবি ভেসে ওঠে তার নাম রসগোল্লা।

সম্প্রতি ওড়িশার সঙ্গে লড়াই করে বাংলা যখন রসগোল্লা নিয়ে জিআই ট্যাগ লাভ করেছে, তারপর থেকে রসগোল্লা নিয়ে আমাদের গর্ব যেনো আরও বেড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি রসগোল্লার প্রতিষ্ঠাতা নবীন চন্দ্র দাসের জীবন কাহিনী ও তার রসগোল্লা তৈরির ইতিহাস নিয়ে বাংলা ছবি ” রসগোল্লা ” মুক্তি পেয়েছে, যা ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে দর্শক মন জয় করে নিয়েছে।

রসে ডোবানো গোলাকৃতির ছানা দিয়ে তৈরি এই মিষ্টির প্রতি বাঙালির দুর্বলতা ও চাহিদা চিরকালের, তাই হালফিলের চকোলেট মিষ্টিও রসগোল্লার জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা ফেলতে পারেননি। যে কোনো উৎসব অনুষ্ঠানে আজও মিষ্টির দোকানে সব থেকে বেশি চাহিদা থাকে এই রসগোল্লার। রসগোল্লা বানানো কিন্তু খুব একটা কঠিন নয়। আজ আপনাদের জন্য রইল রসগোল্লা বানানোর রেসিপি।

উপকরণ:  ফুল ক্রিম দুধ ১ লিটার, ভিনিগার ২ টেবিল চামচ, চিনি ২২০ গ্রাম, এলাচ ৫ টি, জল ১ লিটার।

কীভাবে বানাবেন: ছানা তৈরি করার জন্য একটা বাটিতে ২ টেবিল চামচ ভিনিগার ও সম পরিমাণ জল মিশিয়ে নিন। এবার হাফ কাপ পরিমাণ চিনি ও এক কাপ জল দিয়ে একটু শিরা তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এবার মাঝারি আঁচে একটি পাত্রে দুধটা নিয়ে ১০ মিনিট ধরে একটু জাল দিয়ে নিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে দিন। এবার ৩ মিনিট দুধটা নাড়িয়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। এইবার এক চামচ করে ভিনিগার মেশানো জল দুধে দিয়ে নাড়তে থাকুন, একবারে পুরো ভিনিগার মেশানো জল ঢেলে দেবেন না। যখন এই দুধটা পুরোপুরি কেটে গিয়ে জলটা আলাদা হয়ে যাবে, এবং ছানা জমাট বেঁধে যাবে তখনই বুঝবেন ছানা তৈরি। এবার একটি পাতলা শুকনো কাপড় ছাকনির ওপর দিয়ে নিয়ে ছানাটি ভালো করে ছেঁকে নিন। এবার ছানাটা আবার জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার কাপড়টা চেপে ছানা থেকে বাকি জল বের করে নিন। এবার রস তৈরির জন্য কড়াইতে এক কাপ চিনি ও এক লিটার জল নিয়ে গ্যাস বসিয়ে দিন। এবং এলাচ গুলো দিয়ে দিন। এবার একটি প্লেটে ছানাটা নিয়ে ভালো করে ৬ মিনিট মেখে নিন। একটুও যেন লাম্প না থাকে। এবার ছানা দিয়ে ছোট বা বড় আপনার পছন্দ অনুযায়ী বল বানিয়ে নিন। এবার কড়াইতে ফুটন্ত রসের মধ্যে ছানার বল গুলো একটি করে দিয়ে দিন। এবার হাই আছে ঢাকা দিয়ে ৩০-৪০ মিনিট সেদ্ধ করুন। এবার কড়াইতে মিষ্টিটা ঠান্ডা করে নিন। এবার ফ্রিজে রাখা শিরা ছিল মিষ্টিগুলো তুলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল রসগোল্লা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।