তিন দফার ভোট এক দফায় করার প্রস্তাব তৃণমূলের, রাজি নয় বিজেপি, বামেরা চায় প্রচারে কোভিড বিধি

তিন দফার ভোট এক দফায় করা হোক। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দেয়া আদে জরুরি। সর্বদল বৈঠকে কমিশনকে এমনই প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে বিজেপি কোনও ভাবেই তৃণমূলের প্রস্তাবে সম্মতি জানাতে রাজি নয়। তারা দাবি করেছে এতে ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হবে। যে স্রোতে ভোট হচ্ছে সেভাবেই হোক। বামেদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশন প্রচারে করোনা বিধি স্পষ্ট করে দিক।

কমিশনে সর্বদল বৈঠক

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে উদ্বেগজনক হারে। তারমধ্যেই চলছে ভোট, ভোটের প্রচার। মিটিং মিছিল,জমায়েতে উপচে পড়া ভিড়। কেউ মাস্ক পরছেন কেউ পরছেন না। সামাজিক দূরত্ব বিধির তো বালাই নেই। এদিকে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ থেকে ৩ থেকে ৬ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। এই উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফের কথা মাথায় রেখেই আজ নির্বাচন কমিশন সর্বদল বৈঠক ডাকে। তাতে বাম,কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেিপ সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার,রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বাস্থ্য সচিব।

তৃণমূলের প্রস্তাব

আগামিকাল রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। গতকাল েথকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ তিন দফার ভোট একদফার করার দাবি তুলেছেন। আজ নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি গিয়ে দলনেত্রীর সেই বার্তাই পৌঁছে দিলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যের এখন যা পরিস্থাতি তাতে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আগে জরুরি। কিন্তু ভোটের কাজে অধিকাংশ অফিসারকে নিয়োগ করা হচ্ছে। যার জেরে পরিষেবা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তাই যত দ্রুত সম্ভব ভোট মিটিয়ে ফেলা জরুরি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বিজেপির প্রস্তাব

বিজেপির পক্ষ থেকে আস সর্বদল বৈঠকে গিয়েছিলেন প্রসূন দাশগুপ্ত সহ আর বেশ কয়েকজন। তাঁরা তিন দফার ভোট এক দফায় করানোর প্রস্তাবে রাজি হননি। উল্টে একদফায় ভোট করলে ভোটারদের ক্ষতি করা হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রচারে যথাযথ করোনা বিধি মেনে চলার পক্ষে প্রস্তাব িদয়েছেন তাঁরা। তার জন্য কমিশনকে প্রচারের নির্দিষ্ট করোনা বিধি তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।

বামেদের প্রস্তাব

বামেরাও তিন দফার ভোট এক দফায় করতে নারাজ। তাঁরাও প্রচারে কোভিড বিধির উপর জোর দিয়েছেন। কমিশনের উচিত ছিল প্রচারের সুনির্দিষ্ট বিধি তৈরি করে দেওয়া। তাই আবার ভোটের নির্ঘণ্ট পরিবর্তিত রেখেই প্রচারে করোনা বিধি সুনির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দিয়েছে বামেরা। নির্বাচন কমিশন অবশ্য আগেই জানিয়েছিল এক দফায় ভোট তাঁরা করাবেন না।

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।