মুম্বই: পঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্দশ আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। আর চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ে এদিন বল হাতে নায়ক দীপক চাহার। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পঞ্জাব কিংসের মতো বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন-আপের কোমর একাই এদিন ভেঙে দেন জাতীয় দলের এই পেসার। চাহারের দাপুটে বোলিং’য়ের পর আর মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেনি পঞ্জাব ব্যাটিং।
চার ওভার হাত ঘুরিয়ে এদিন রাজস্থান ম্যাচে বিধ্বংসী হয়ে ওঠা কেএল রাহুল, ক্রিস গেইল এবং দীপক হুডা তিন ব্যাটসম্যানকেই ডাগ-আউটে ফিরিয়ে দেন চাহার। সঙ্গে প্রথম ওভারে এদিন চাহারের প্রথম শিকার ছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। মূলত চাহারের দাপটেই শুরুতে কোমর ভেঙে যাওয়া পঞ্জাব ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৬ রানে আটকে যায়। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে সহজ লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বল বাকি থাকতেই তাড়া করে ম্যাচ জেতে চেন্নাই।
আর ওয়াংখেড়ের পিচে চাহারের বোলিং দেখে অভিভূত ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে চেন্নাই বোলারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। শাস্ত্রী লেখেন, ‘এটা পরীক্ষিত ঘটনা যে দু’দিকেই নিখুঁত নিয়ন্ত্রিত সুইং বোলিং সেরাদের সমস্যা সৃষ্টি করে। দারুণ বৈচিত্র্য। অসাধারণ দীপক চাহার।’ পঞ্জাবের তাবড়-তাবড় ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরে খুশি চাহারও।
পঞ্জাব ইনিংসের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঙ্গে কথোপকথনে চাহার বলেন, ‘আমার মনে হয় সুইং’য়ের চেয়েও সিম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমরা সঠিক জায়গায় বল করে গিয়েছি। গত বছরটা আমাদের প্রত্যেকের কাছেই খুব কঠিন ছিল। আমি কোভিডের শিকার হয়েছিলাম। ২৮ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর মাত্র ৪ দিনের মধ্যে ম্যাচ খেলেছিলাম। সবমিলিয়ে কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে সোজা ম্যাচ খেলা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। আমরা আজকের ম্যাচের জন্য সঠিক পরিকল্পনা করেছিলাম। আমাদের পরিকল্পনাটা করতে হয়েছিল কারণ এখানে প্রথম দু’টো ম্যাচ খুব হাই-স্কোরিং হয়েছিল।’
চাহার আরও জানান, ‘আমরা প্রস্তুতির জন্য বেশ কিছুটা সময়ও পেয়েছি। আর সমস্তকিছু আমাদের পক্ষে গিয়েছে যেহেতু আমাদের কার্যকারিতা ঠিকঠাক হয়েছে। ১০৭ রান তাড়া করাটা আমাদের জন্য সহজ হয়েছে। আশা করি রান-রেট বাড়িয়ে রেখে আমরা ভালো জায়গায় এবার শেষ করব।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.