কলকাতা : মুম্বইয়ের সাট্টা বুকিরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র জয় নিশ্চিত ধরে নিয়ে বড় অংকের টাকা বাজি ধরেছে। পশ্চিমমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের তাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মুম্বইয়ের সাট্টা বাজার। তারা বলছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এমন কী বিজেপি ১৯১ থেকে ১৯৯টি আসন পাবে বলেও তারা জানাচ্ছে। একটি বিশেষ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তৃণমূল ও সংযুক্ত মোর্চার জয়ের ক্ষেত্রে তাদের তেমন কোনও পূর্বানুমান সেই অর্থে নেই। তাদের পূর্বানুমানের পুরোটাই বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার বিষয় নিয়ে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নিৰ্ভতর করে উঠে আসছে। আর তাই তারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র নির্বাচনী জয় নিশ্চিত ধরেই বড় অংকের টাকার বাজি ধরেছে মুম্বইয়ের সাট্টা বাজারে।

মুম্বই সাট্টা বাজারের বুকিরা বলছেন, “বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৯১ থেকে ১৯৯টি আসন নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে তারা ৮৫ থেকে ৯৩টি আসন দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এজেন্সির ওপিনিয়ন পোল নিয়ে বুকিদের মতপার্থক্য রয়েছে। তবে বুকিরা বলছে, “পশ্চিমবঙ্গে একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এবং বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে একটি স্থায়ী সরকার গঠনের দিকেই এগোচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গে এই সরকার গড়তে বিজেপি-র কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থন লাগবে না।”

মুম্বইয়ের সাট্টা বুকিরা বলছে, ২১৪টি বিধানসভা এখন তৃণমূলের দখলে থাকলেও তৃণমূল সেই ভাবে ভালো ফল করতে পারবে না। সাকুল্যে তৃণমূল ৮৫ থেকে ৮৩টি বিধানসভায় জয়ী হতে পারে। যা কিনা ২০১৬তে পাওয়া ২১৪টি আসনের চাইতে ১২৯টির মতো আসন কম । কংগ্রেস ও বামেদের জন্য বুকিরা ১৩ থেকে ২০টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলছে। ১ টাকার হিসেবে আসন প্রাপ্তির নিরিখে কাকে কত টাকার বাজিতে রাখা হয়েছে সেটাও বুকিরা জানিয়েছে। আসন প্রাপ্তির নিরিখে বুকিরা কংগ্রেস ও বাম মোর্চার জন্য ১৩ থেকে ২০টি আসন ধরেছে। যার জন্য ০.২৯ পয়সা বাজি মূল্য ধার্য্য হয়েছে। তৃণমূলের জন্য ৮৫ থেকে ৯৩ টি আসনের প্রাপ্তির সম্ভাবনার জন্য বাজি মূল্য ধার্য্য হয়েছে ০.১৩ পয়সা। বিজেপি-র ১৯১ থেকে ১৯৯টি আসন প্রাপ্তিরসম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বাজি মূল্য ধার্য্য করা হয়েছে ০.৮ পয়সা। কম পয়সা বাজির অর্থ জয়ের সম্বভবনা সবচেয়ে বেশি। তাই বিজেপি-র জয়ের বিষয়ে বাজিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে।

রাজস্থানের জয়পুর জেলায় ফালদি নামের একটি শহর রয়েছে। এই ফালদি হচ্ছে বেটিংয়ের নার্ভ সেন্টার। বিশেষ করে নির্বাচন বিষয়ক বেটিংয়ের ক্ষেত্রে এই শহর অগ্রগণ্য। ফালদি-র বুকিরা ভোটের বাজি মেলানোর ক্ষেত্রে খ্যাতিমান বলে পরিচিত। মুম্বইয়ের বুকিদের পূর্বানুমান ফালদি-র মতের দ্বারা পুষ্ট বলেও মনে করা হচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।