সঙ্কটের মাঝেই দেদার কালোবাজারি, করোনার জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ

দেশে চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই করোনার জীবনদায়ী ওষুধ রেমডেসিভিরের উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। যদিও তারপরেও কমছে না উদ্বেগ। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি গত কয়েকদিনে করোনার ওষুধ রেমডেসিভির ও ফ্যাভিপিরাভিরেরও আকাল দেখা দিতে শুরু করে একাধিক দেশে। এমনকী গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকায় চাহিদা বেড়া যায় কয়েক গুণ।

সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে চলছে দেদার কালোবাজারি

এদিকে এই সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে গোটা দেশে রেমডেসিভিরের ব্যাপক কালোবাজারিও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে রেমডেসিভিরের যোগান কার্যত নেই বললেই চলে। এদিকে করোনা প্রতিরোধে অ্যান্টি-রেট্রোভিয়াল ওষুধ রেমডেসিভিরের প্রয়োগ নিয়ে শুরুতে একাধিক বিতর্ক হয়।

শুরু থেকেই বিতর্কে রেমডেসিভির

এমনকী পরবর্তীতে এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এমনকী এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায়। অনেকেই দাবি করেন এই ওষুধ প্রয়োগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি কমছে। কিন্তু সেই বিষয়ে এখনও যথাযতন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও তাতে ওষুধের চাহিদায় যে এতটুকু ভাটা পড়েনি তা বর্তমান চিত্রেই পরিষ্কার।

কাদের দেওয়া যাবে এই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ?

এদিকে এই ওষুধ নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে হাহাকার শুরু হলে দুদিন আগেই এই ওষুধের প্রয়োগ নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োগে বাধ্য হয় সরকার। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ও শ্বাসকষ্ট কমাতে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, শুধু এমন করোনা সংক্রমিতদের ক্ষেত্রেই রেমডেসিভির ওষুধ ব্যবহার করা উচিত বলে জানায় কেন্দ্র। বাড়িতে চিকিৎসাধীন, উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভিয়ারের কোনও প্রয়োজন নেই বলেও সাফা জানানো হয়।

কী বলছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ?

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ সংস্থার ডিজি বলরাম ভার্গব ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন দেশে সাতটি সংস্থা ওই ওষুধ তৈরি করে। বর্তমানে যা যোগান ছিল তাতে দেশে এই রেমিডিসিভিরের ঘাটতি থাকার কথা নয় বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। কিন্তু দেশে বর্তমান করোনা সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে কালোবাজারি শুরু হওয়াতেই বেড়েছে উদ্বেগ।

কালোবাজির রুখতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র ?

এদিকে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকার কারণে এই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধে রফতানিও ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করেছে ভারত।পাশাপাশি কালোবাজির ঠেকাতে মজুতদার এবং বিতরণকারীর বিস্তারিত বিবরণ নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার জন্য রেমডেসিভির উৎপাদনকারীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এছাড়া সঙ্গে ওষুধ পরিদর্শক সংস্থাকেও যেকোনও ধরনের ত্রুটি পরীক্ষা করার পাশাপাশি বেআইনি মজুত রুখতে করা পদক্ষেপেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতে 'মেডিক্যাল অক্সিজেন'-এর পরিস্থিতি জানতে চেয়ে এবার ময়দানে মোদী, বিশেষ বৈঠকে উঠল একাধিক প্রসঙ্গ