কলকাতা: করোনায় কমছে না ভোটের দফা। রাজ্যে বাকি দফার নির্বাচনগুলি হবে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই। তবে কোভিড প্রোটোকল মেনে বাকি পর্বের নির্বাচন পরিচালনা করা হবে বলে শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিনও কমিশনে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাকি দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। ‘‘বাংলার মানুষের জীবন রক্ষাই প্রধান কাজ, তাই বাকি দফার ভোট একসঙ্গে চেয়েছি।’’ এদিন এমনই জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাকি দলগুলিরও মতামত শোনেন কমিশনের কর্তারা। কোভিড বিধি মেনেই রাজ্যের বাকি দফার ভোট পরিচালনা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ তাণ্ডব চালাচ্ছে দেশজুড়ে। ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাতেও। হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। কোভিড বিধি শিকেয় তুলে রাজ্যে প্রচার সারছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই কারণেই করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক আকার নিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন।

এদিন নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে যায় বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। বিজেপি শুরু থেকেই ভোটের দফা কমানোর বিরোধী। এদিনও কমিশনের ডাকা বৈঠকে কোভিড বিধি মেনে বাকি চার পর্বের নির্বাচনের সওয়াল করেন বিজেপি নেতারা। দূরত্ব বিধি মেনে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভোটের সওয়াল গেরুয়া শিবিরের। তবে তৃণমূলের তরফে এদিনও আট দফার ভোটের বিরোধিতা করা হয়েচে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল শুরু থেকেই আট দফা ভোটের বিপক্ষে। বাংলার মানুষের জীবন রক্ষা করাই প্রধান কাজ। করোনার জন্যই বাকি দফার ভোট একসঙ্গে চেয়েছি।’’

বাকি দফার নির্বাচনে কোভিড বিধি মেনে প্রচারের সওয়াল বিজেপির। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভোটের প্রচারে তাঁদের মত নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। এদিকে, সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত কোভিড বিধি ভাঙছেন। সংযুক্ত মোর্চা কোভিড বিধি মানছেন বলে দাবি সিপিএম নেতাদের। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চার দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। পঞ্চম দফায় আগামিকাল রাজ্যের ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে আগামী ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল। বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।