“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে” এই পংক্তিটি আমাদের সবার কাছেই ভীষণ পরিচিত। আমরা সকলেই জানি যে দুধ ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। দীর্ঘ দিন ধরে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মানবজাতি দুধ ব্যবহার করে আসছে। খেলোয়াড় ও ব্যয়ামবীরদের মধ্যে নিয়মিত দুধ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। দুধ পুষ্টিগুণে সম্পূর্ণ ও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। যা শরীরকে শক্তিশালী করতে ও হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অনেকই গরু, মোষ, ছাগল, উটের দুধ পান করে থাকেন। এর মধ্যে গরুর দুধ সবথেকে বেশি উপকারী। কারণ গরুর দুধ A2 জাতীয়, যার পুষ্টিগুণ অন্যান্যগুলোর থেকে অনেক বেশি। এছাড়াও গরুর দুধ খুব সহজেই হজম হয়ে যায়, যেটি একটি অন্যতম ইতিবাচক দিক। দুধ উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে, তাই ভারতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের ব্যবহার ও প্রচলন বিপুলভাবে দেখা যায়। দুধে প্রচুর গুণাগুণ রয়েছে নিয়মিত দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আসুন দেখে নেওয়া যাক দুধ কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যকে সম্বৃদ্ধ করে।
১. হাড়ের জন্য উপযোগী: দুধ হাড়ের জন্য ভীষণ উপযোগী। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দুধে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম যা অস্টিওপোরোসিস এর মত হাড়ের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২. প্রোটিন সম্বৃদ্ধ: দুধ দেহে প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তাকে রক্ষা করে। দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রিচ প্রোটিন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধে ৮ গ্রাম রিচ প্রোটিন থাকে। এছাড়াও দুধে উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালিত হতে সাহায্য করে।
৩. শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য: দুধে উপস্থিত প্রোটিন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই জন্য যারা ব্যয়াম করেন, বা খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দুধ খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
৪. ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমায়: দুধ ওজন বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে তাই প্রত্যেকদিন এক গ্লাস দুধ খেলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন।
৫. বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য: দুধ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত দুধ খেলে স্ট্রোকের প্রবণতা কমে, যারা উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রেও দুধ উপকারী। এছাড়া বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ লিভারে কোলেস্টেরল উৎপাদন করে হ্রাস করে। এছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও দুধ উপকারী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.