দ্বিতীয় পর্বে ১.৭ গুণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুহারও

গোটা দেশজুড়ে ক্রমেই আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে মারণ করোনা। এমনকী দৈনিক আক্রান্তের নিরিখেও তৈরি হয়েছে নিত্যনতুন রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। যা এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সর্বকালীন রেকর্ড। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে প্রথম পর্বের করোনা সংক্রমণের থেকে দ্বিতীয় পর্বের সংক্রমণের গতি প্রায় ১.৭ গুণ দ্রুত।

দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে মারণ করোনা

সংক্রমণের এই দ্রুততার কারণেই বর্তমানে গোটা দেশে নতুন করে জাঁকিয়ে বসতে সুবিধা পাচ্ছে করোনা ভাইরাস। পরিসংখ্যান বলছে এইবার যখন দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার সেখান থেকে ৮৪ হাজার আক্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ৫১ দিন। কিন্তু প্রথম পর্বের ক্ষেত্রে এই সময়টা ছিল প্রায় ৮৪ দিন। আর এখানেই নতুন করে বাড়ছে আশঙ্কা।

গোটা দেশজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ

অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যু ও মৃত্যুহারের নিরিখেও দ্বিতীয় দফার করোনা সংক্রমণ অনেক বেশি প্রাণঘাতী বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী গত কয়েক সপ্তাহের মৃতদের পরিসংখ্যানও সেইদিকেই ইঙ্গিত করছে। বর্তমানে গোটা দেশে ১০০ আক্রান্ত পিছু মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ১.৭ শতাংশ। যদিও মহারাষ্ট্রের মতো সর্বাধিক করোনা কবলিত রাজ্যের জন্য এই হার খানিক ভিন্ন। দিল্লি অবস্থাও দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে।

মৃত্যুহার বাড়ছে দিল্লিতে

দিল্লিতে আবার মৃত্যুহার দাঁড়িয়েছে ২.৭ শতাংশ। যাতে নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ গত বছর যখন গোটা দেশের পাশাপাশি রাজধানীতেও দফায় দফায় জাঁকিয়ে বসেছিল দিল্লি তখনও মৃত্যুহার এতটা উপরে উঠে যায়নি। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ রোধে গোটা রাজ্যজুড়েই জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। তবে তারপরেও মারণ করোনাকে কতটা বাগে আনা যাবে সেই বিষয়ে থাকছে প্রশ্ন।

উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পাঞ্জাব

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার জিনসজ্জায় বড়সড় রদবদলের জেরে অভিযোজন পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আসছে। এমনকী দু-দুবার মিউটেশনের কারণে বদলে যাচ্ছে রূপ। যা ফলে বাড়ছে সংক্রমণের তেজ। এর জন্য অবশ্য ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নব করোনা স্ট্রেনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। পাঞ্জাবে আবার এই নব স্ট্রেনের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো। এমনকী ফলস্বরূপ ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মৃত্যুহারও দাঁড়িয়েছে ৩.৪ শতাংশ। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে যা ছিল ৫.৭ শতাংশ।

করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে অক্সিজেন সরবরাহের চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রকে চিঠি দিলেন উদ্ধব ঠাকরে