দেশে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের নাম শীর্ষ তালিকার মধ্যে রয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্র সরকার এই দুই রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কিছু সপ্তাহ ধরে এই দুই রাজ্যেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই কোভিড–১৯ মামলা ট্র্যাকিং করতে হবে।
'টেস্ট–ট্র্যাক–কোভিড যথাযথ আচরণ–টিকাকরণ’ এই পাঁচটি কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে কেন্দ্র এই দুই রাজ্যকে স্বেচ্ছাসেবক, অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্সদের নিয়োগ করতে বলেছে, যাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষমতা বাড়ে এবং তাঁরা যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপসর্গ রয়েছে এমন করোনা রোগীদের সনাক্ত করতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষন বৃহস্পতিবার এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় উভয় রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এবং এই বৈঠকে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়েও আলোচনা হয়।
অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটরে চাহিদা শীঘ্রই পূরণ করার আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে টিকাকরণ কর্মসূচি বাড়ানোর জন্য বলেছে, বিশেষ করে সেই সব এলাকায় যেখানে করোনা কেস আচমকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭,৪২৬ জন, যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। দেশের দৈনিক কেসে অবদানের ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের পর উত্তরপ্রদেশ দ্বিতীয় রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, সাতদিনের গড় কেস রেকর্ড দেখার পর বোঝা গিয়েছে যে ছত্তিশগড়ে নতুন কোভিড–১৯ কেসের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ। রায়পুর, দুর্গ, রাজনন্দগাঁও ও বিলসপুর সহ ছত্তিসগড়ের মোট ২২ টি জেলা গত ৩০ দিনে তাদের রিপোর্ট করা সর্বাধিক কেস পেরিয়েছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে দৈনিক নতুন কেসের ক্ষেত্রে ১৯.২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় গত ৩০ দিনের মধ্যে কোভিড কেস সর্বাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।