মুকুল রায়ের সম্পত্তির পরিমাণ ঠিক কত, বিজেপি প্রার্থীর আয়ের উৎস থেকে জমি-বাড়ি নিয়ে সব তথ্য প্রকাশ্যে

বলা হয়, বাংলার রাজনীতির মাটির প্রতিটি কণা চেনেন মুকুল রায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির আঙিনায় তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন চাণক্য। বাংলার বহু রাজনৈতিক পাশার চালে মুকুল রায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর এই পাশার তুমুল চাল দিয়ে তিনি ২০১৯ লোকসভার আগে রাজ্যরাজনীতিতে ঝড় তোলেন দলবদলের হাত ধরে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের রাজনৈতিক সফরে এসেছে একের পর এক মামলা, মোকদ্দমা, উঠেছে সারদার মতো আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলায় নানান অভিযোগ। সেই সমস্ত অধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায় বহু বছর পর এবার জনতার দরবারে প্রার্থী। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী মুকুল রায়ের সম্পত্তির পরিমাণ থেকে আয় ব্যায়ের বহু হিসাব সদ্য নির্বাচনী হলফনামায় প্রকাশ্যে এসেছে। একনজরে দেখা যাক, সেই হলফনামায় কী কী উঠে এল।

মুকুল রায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা

যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মুকুল রায় জমা করেছেন, তাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা। তিনি কলা বিভাগে স্নাতোকোত্তর পাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয় ছিল 'পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন'। এই বিষয়ে স্নাকোত্তর তিনি পাশ করেন মাদুরাইয়ের কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সময়কাল ২০০৬ সাল।

মুকুল রায়ের আয়ের উৎস

কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী মুকুল রায় জানিয়েছেন, তাঁর আয়ের উৎস মূলত তাঁর পেনশনের টাকা। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীয়ের ব্যবসা থেকে আসে কিছু টাকা। মুকুল রায় জানিয়েছেন , তিনি নিজে পেনশন হোল্ডার আর তাঁর স্ত্রী ব্যবসায়ী।

ব্যাঙ্ক ঋণ থেকে গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য

এই মুহূর্তে মুকুল রায়ের কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ নেই। কাঁচড়াপাড়া থেকে বাংলার রাজনীতিতে উঠে আসা এই তাবড় রাজনৈতিক নক্ষত্র মুকুল রায়ের কোনও গাড়ি নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। এরসঙ্গেই তিনি জাানান, তাঁর স্ত্রীর নামেও কোনও গাড়ি নেই ।

সোনার পরিমাণ থেকে জমি-জমার হিসাব

নির্বাচনী হলফনামায় মুকুল রায় নিজের সোনার গয়নার কথা কিছু উল্লেখ করেননি। তবে তাঁর স্ত্রীয়ের গয়নার হিসাব তিনি দিয়েছেন। মুকুলপত্নীর সংগ্রহে ১০৭.৬৬ গ্রামের সোনা রয়েছে বলে তিনি লেখেন। জমি বাড়ির বিষয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন,তাঁর নিজের নামে কোনও জমি নেই। তাযঁর স্ত্রীর নামে হলিশহরের বিজপুরে একটি জমি রয়এছে। যে জমির বর্তমান মূল্য ১৫ লাখ টাকা। জমিটি কেনার সময় দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। জমি কেনা হয় ২০০৮ সালে। নিজের বাড়ি বলতে মুকুল রায় কাঁচড়াপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িটির কথা উল্লেখ করেছেন। যা তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

মুকুলের উপার্জন ও কোন ব্যাঙ্কে কত টাকা রয়েছে?

২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে মুকুল রায়ের উপার্জন ছিল ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। মুকুলপত্নীর উপার্জন ছিল ৫,৮১,২৮১ টাকা। নগদ বলতে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি প্রার্থীর হাতে রয়েছে ৩৫,৭৫২ টাকা। স্ত্রীয়ের কাছে রয়েছে ৬৫,৭৫৯ টাকা। হলফনামায় মুকুল রায় জানান, স্টেটব্যাঙ্কে তাঁর যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাতে ৮,৪৪,৩৭৯.২২ টাকা রয়েছে। অর্থাৎ স্টেট ব্যাঙ্কে মুকল রায়ের নামে গচ্ছিত টাকার অঙ্ক রয়েছে ৮ লাখের উপর। মুকুল রায়ের স্ত্রীয়ের নামে ২ টি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রয়েছে, একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২,৩৩, ২৫৭ টাকা, অন্যটিতে রয়েছে ১০,৭,২৬.৯৫ টাকা।

শীতলকুচি নিয়ে যা বলছেন বিজেপি নেতারা তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, নাম না করে দিলীপ-রাহুলদের তোপ দাগলেন নুসরত

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।