জয়পুর : দেশজুড়ে কাঁপুনি ধরাচ্ছে মারণ করোনা সংক্রমণ। বাজারে ভ্যাক্সিন চলে এলেও রেহাই নেই অদৃশ্য এই ব্যাধি থেকে। যার ফলে প্রতিদিনই হু-হু করে বেড়েই চলেছে মৃত ও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । আর এই অবস্থায় এবার সংক্রমণ রুখতে সপ্তাহব্যাপী নাইট কার্ফু জারি করল রাজস্থানের অশোক গেহলটের সরকার।
বৃহস্পতিবার নিজের টুইটার পেজে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, গোটা দেশের পাশাপাশি রাজস্থানেও উদ্বেগ বাড়িয়ে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় ফের বড় কোনও বিপর্যয় এড়াতে এবং করোনা সংক্রমণের বিস্তার আটকাতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সোমবার সকাল ৫ টা পর্যন্ত গোটা রাজ্যে জারি থাকবে নাইট কার্ফু। অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল সোমবার পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরের দিন ভোর ৫ টা অবধি এই নাইট কার্ফু লাগু থাকবে।
এদিন হিন্দিতে টুইট করে তিনি আরও বলেন, ” রাজ্যের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চারদিন নাইট কার্ফু জারি থাকবে। এই নাইট কার্ফু চলাকালীন সকল নাগরিকদের কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা বিধি মেনে চলতে হবে।”
অন্যদিকে বুধবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট আরও জানিয়েছিলেন, যেভাবে তড়তড়িয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় । সংক্রমণ রুখতে আপাতত ১৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে।
শুধু তাই নয়, এই নাইট কার্ফু চলাকালীন সময়ে কঠোরভাবে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়াও কোনওভাবে যাতে জনসমাগম না হয় সেজন্য সব ধরনের পাব্লিক ইভেন্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন গেহলট সরকার। এছাড়াও যেকোনও ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে বা বিয়েতে ৫০ জনের বেশি লোককে নিমন্ত্রণ করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে বাইরের রাজ্য থেকে রাজস্থানে আগত সকল ব্যক্তির করোনা টেস্ট আবশ্যক। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই মিলবে এই রাজ্যে ঢোকার ছাড়পত্র।
এর আগে রাজ্য সরকার রাজস্থানের মোট ৯ টি শহরে নাইট কার্ফু জারি করেছিলেন। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই নাইট কার্ফু জারি থাকবে। রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা অবধি রাজস্থানের আজমির, আলওয়ার, ভিলওয়ারা, চিতোরগড়, ডুঙ্গারপুর, জয়পুর, যোধপুর, কোটা এবং আবু রোডে এই নাইট কার্ফু লাগু করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এবার ভেঙে গেল ২ লক্ষের গন্ডিও। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষেরও বেশি। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হল ১ হাজার ৩৮ জনের। পরিসংখ্যান বলছে দেশে বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩৯ জন। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯৩ হাজার ৫২৮ জন।
দেশে নতুন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে মোট সংখ্যাও বাড়ল ব্যাপক হারে। দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫৬৪ জনের। এরমধ্যে অবশ্য সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ২৪ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৬৪ জন। দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনার ভয়াল থাবায় এখন অবধি মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১২৩ জনের।
সারা দেশেই করোনার চিত্রটা গড়পড়তা একই রকমের। এরমধ্যে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি সহ মোট ১০ টি রাজ্যে পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। রাজধানী দিল্লিতেও অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটে প্রতিদিনকার শেষকৃত্যের সংখ্যা ১৫ থেকে একবারে দ্বিগুণ হয়ে ৩০ এ এসে পৌঁছেছে। হাসপাতালে লাইন, শেষকৃত্যে লাইন-করোনায় কাবু দেশ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.