শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : রাত পোহালেই শনিবার রাজ্যের পঞ্চম দফার বিধানসভা নির্বাচন। ও পর্বে রাজ্যের ৪৫ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হতে চলেছে শনিবার। ৬ জেলায় মোট ৪৫টি আসনে হবে ভোট গ্রহন হবে এই দফায়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১৬টি আসন, নদিয়া জেলার ৮টি আসন, পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮টি আসন,দার্জিলিং জেলার সবকটি আসন, কালিম্পং জেলার ১টি আসন জলপাইগুড়ি জেলার সবকটি আসনে পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহন হবে। এই পর্বে যে আসনগুলিতে ভোট হচ্ছে, সেগুলিতে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভাভিত্তিক ফলাফলে আসন সংখ্যার নিরিখে সমানে সমানে টক্কর রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির। লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী এই ৪৫টি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূল ২৩টি আসনে ও বিজেপি ২২টি আসনে এগিয়ে ছিল। চতুর্থ দফার মতো পঞ্চম দফার নির্বাচন যাতে প্রাণঘাতী না হয় সেই কথা ভেবে নির্বাচন কমিশন পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৭২ ঘণ্টা আগে শেষ করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগেই পঞ্চম দফার ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জেলার কোন বিধানসভা কেন্দ্রে পঁচন দফার নির্বাচন

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, রাজারহাট নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট গোপালপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, মিনাখাঁ , সন্দেশখালি , বসিরহাট দক্ষিণ, বসিরহাট উত্তর, হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচন হবে।

দার্জিলিং জেলা

এই জেলার দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি , শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভায় পঞ্চম দফায় নির্বাচন হবে শনিবার।

কালিম্পং জেলা

এই জেলার কালিম্পং বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার পঞ্চম দফায় নির্বাচন হবে।

জলপাইগুড়ি জেলা

জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি , জলপাইগুড়ি , রাজগঞ্জ , ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল , নাগরাকাটা বিধানদসভা কেন্দ্রে পঞ্চম দফার নির্বাচন হবে।

নদিয়া জেলা

নদিয়া জেলার শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, কৃষ্ণগঞ্জ , রানাঘাট উত্তর-পূর্ব , রানাঘাট দক্ষিণ , চাকদহ, কল্যাণী , হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার নির্বাচন হবে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ , বর্ধমান দক্ষিণ, রায়না , জামালপুর , মন্তেশ্বর, কালনা , মেমারি, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পঞ্চম দফায় নির্বাচন হবে।

পঞ্চম পর্বের নির্বাচনে বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন হতে চলেছে শনিবার। এই পর্বের ভোটে উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মদন মিত্র,ব্রাত্য বসু, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাহুল সিনহা, গৌতম দেব, অদিতি মুন্সি, শমীক ভট্টচার্য,সব্যসাচী চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র, তাপস রায়, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়,সায়নদীপ মিত্র, অশোক ভট্টাচার্য , সুজিত বসুর মতো প্রার্থীরা। এদের মধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন।

উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৫টি প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে। হয়ে যাওয়া ৪ দফার সবকটিতেই প্রাণের মূল্যে নির্বাচন হয়েছে। এবার রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে ৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের বিচারে সবকটি দফার ভোটই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের ঐকান্তিক চেষ্টা হোক গণতন্ত্রের এই মহান উৎসবে আর যেন কোনও প্রাণকে ঝরে পড়তে না হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।