মিঠুনের রোড শোতে মানুষের ঢল
এদিন শুরু থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে মানুষের ভিড়। তিনি রোড শো শুরু করেন কাঁকিনাড়া নারায়ণপুর ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ থেকে। এটি পড়ে জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। যা ভাটপাড়ার নদিয়া জুটমিলের কাছে গিয়ে শেষ হয়। জগদ্দলে বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য। ভাটপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং-এর পুত্র পবন সিং। এই ভাটপাড়া থেকে মিঠুন যান ইছাপুরের লেলিন নগরে। এলাকাটি পড়ে নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে। যেখানে এবারে বিজেপি প্রার্থী সুনীল সিং।
ফোন করলেই হাজির হবেন
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন সবাই নিজের ভোট নিজে দেবেন। কেউ বাধা দিলেই একটি নম্বরে ফোন করবেন। তাহলে ফাটাকেষ্ট হাজির হয়ে যাবে। এদিন সবাই দাবি করেন ডায়লগ শোনার জন্য। যদিও মিঠুন বলেন, বললেই তা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের হয়ে যাবে। তিনি মুখে কিছু না বললেও, ইশারায় বুঝিয়ে দেন, তিনি জাত গোখরো।
ভিক্ষা নেবেন না
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূলের ইস্তেহারে থাকা রেশনের চাল বাড়িতে পৌঁছনোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ভিক্ষা নেবেন না। তিনি বলেন, রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ছয় কোটি মানুষ রেশন নেন। দুকোটি রাজ্যের বাইরে থাকেন আর দুকোটি রেশন নেন না। তিনি হিসেব কষে বলেন, এই ছয় কোটি মানুষের প্রত্যেকের থেকে যদি ১০০ গ্রাম করে চাল নিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে তাকে ছয় কোটি দিয়ে গুণ করে হাজার দিয়ে ভাগ করে কেজি পিছু ১০ টাকা হিসেবে গুণ করতে হবে। তাহলে মাসে কোটি টাকার বেশি আয় হবে বলে তৃণমূলের প্রতি কটাক্ষ করেন তিনি।
শীতলকুচির ঘটনায় উস্কানি
মিঠুন চক্রবর্তী এদিন রোড শো-এ প্রচারের সময়ে বলেন, উস্কানির জেরে পাঁচ পাঁচটা মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। উস্কানি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন, তিনি একবারই বলেছেন, উস্কানি। সেটাকে ওইভাবেই বুঝে নিতে হবে। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করতে গিয়ে বলেন, বিজেপি রাজ্য ক্ষমতায় আসলে হিংসা এবং দাঙ্গা হবে না।