ব্রাসেলস: আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ন্যাটো সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ। বুধবার তিনি একথা বলেছেন। তাঁর মতে, এর ফলে তালেবানদের হিংসা বাড়বে এবং প্রতিরোধের ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাবে।
একটি যৌথ বিবৃতিতে জেনস স্টলটেনবার্গ, মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই সহজ নয়। বরং এতে ঝুঁকি রয়েছে। তাঁদের মতে, অনেক মাস ধরে তাঁরা এ নিয়ে দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন। কারণ, সুশৃঙ্খলভাবে ছেড়ে যাওয়ার বিকল্পটি দীর্ঘমেয়াদী। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য আরও ন্যাটো সেনা নিয়ে উন্মুক্ত সামরিক বাহিনীর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। একই বিবৃতিতে অস্টিন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সময় মার্কিন বাহিনী ও তাদের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনও তালিবানি হামলা হয় সেক্ষেত্রে আমেরিকা জোরালোভাবে তার জবাব দেবে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থার তরফেও অস্টিনের কথা উদ্ধৃত করে এই খবর জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন আফগানিস্তানে এখনও হিংস বর্তমান। গত ২০ বছরে যে উন্নতি হয়েছে তা তালিবানরা কিছুটা নষ্ট করার চেষ্টা করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ব্লিনকেন বলেছেন, আমেরিকা তার সেনা প্রত্যাহারের পরে আফগানিস্তানকে সমর্থন অব্যাহত রাখতে। এক্ষেত্রে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচির আওতায় আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য ভিসার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, যাঁরা তাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, যাঁরা তাঁদের সেনা তাঁদের কাছে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তা সে মিলিটারি ক্ষেত্রেই হোক বা কূটনীতিক ক্ষেত্রে। আফগানদের জন্য স্পেশাল ইমিগ্রেন্ট ভিসা প্রোগ্রাম যোগ্য। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রতি আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্লিনকেন এও বলেন যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তাঁরা দেশের উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং সুরক্ষা বাহিনীর প্রতি তাঁদের প্রতিশ্রুতির খেলাপ করবেন না। প্রসঙ্গত এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেন ঘোষণা করেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তার ২ হাজার ৫০০ সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে। ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি দেশ থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসবেন বলেও জানান তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.