শিক্ষকরা মানুষ তৈরির কারিগর। একবিংশ শতকে শিক্ষার ধরন খুব দ্রুত পরিবর্তনশীল। শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও শিক্ষা বিজ্ঞানের দ্রুত পরিবর্তন শিক্ষকতার ধরনকে ক্রমাগত বদলে দিচ্ছে। যার ফলে নতুন করে প্রতিকূলতার মুখোমুখি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক – শিক্ষিকারা।
করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবের কারণে বেশিরভাগ স্কুলগুলি অনলাইন মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। স্কুল গুলির এই ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করার সমস্ত দায়দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে শিক্ষক – শিক্ষিকাদের কাঁধে। যার ফলে নতুন করে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তাঁরা। প্রধান সমস্যাগুলির ওপর নজর দেওয়া যাক।
১. ভার্চুয়াল মাধ্যেমে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হচ্ছে। সেখানেও দেখা দিচ্ছে নানা রকম সমস্যা। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার পড়াশুনায় মনোসংযোগ অনেক ক্ষেত্রেই কমে গিয়েছে। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, ভূগোল ইত্যাদি যে বিষয়গুলি পড়াতে গবেষণাগার প্রয়োজন, সেইগুলো পড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষক – শিক্ষিকারা। কারণ অনলাইন মাধ্যমে ল্যাব ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়াও তুলনামূলক ভাবে বয়স্ক শিক্ষক – শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে দ্রুত এই প্রযুক্তির খুঁটিনাটি আয়ত্ত করার ক্ষেত্রেও বিশেষ সমস্যা রয়েছে।
২. নিউ নরমালেই লার্নিং একমাত্র পথ। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষণীয় যে প্রথাগতভাবে মুখোমুখি পড়ানোর তুলনায় অনলাইন মাধ্যমে পড়াতে শিক্ষক – শিক্ষিকারা বেশি সময় নিচ্ছেন।
এছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে ছাত্র শিক্ষক পারস্পরিক সম্পর্কও গড়ে উঠছে না, যার ফলে শিক্ষকরা বুঝে উঠতে পারছেন না যে পড়াশুনার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে।
৩. জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষক – শিক্ষিকাদের শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করে ৫+৩+৩+৪ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পড়াতে হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে সকল শিক্ষাবিদকে কমপক্ষে ৫০ ঘণ্টা প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট ওয়ার্কশপ এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে সমাধান হিসেবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। সঠিক প্রশিক্ষণই শিক্ষকদের বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি সহায়কতা, ও নতুন শিক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তোলা এই বিষয় গুলিতে সাহায্য করবে। একজন সঠিক প্রশিক্ষিত শিক্ষাবিদই পারবে ছাত্রদের যথাযথ শিক্ষায় শিক্ষিত করে উন্নততর মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.