নয়াদিল্লি: অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সচেষ্ট ভারত। পাশাপাশি কমানো হবে এর দামও। সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই ড্রাগের ঘাটতি দেখা দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় রেমডেসিভির। করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ সরবরাহও করা হয়েছে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার পর দেশে উত্তরোত্তর বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে দেশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে এই ওষুধ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মানদাভিয়া জানিয়েছেন, সরকার এর উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে এর চাহিদা বাড়ে ও দাম কমে তার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে ৮০ লক্ষ রেমডেসিভির প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বসে সরকারি তরফে খবর। এই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে রেমডেসিভির দাম ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে আনা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন রেমডেসিভির কম পড়ার কারণ ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এর উৎপাদন কমে গিয়েছে। কিন্তু ন্যাশনাল ড্রাগ কন্ট্রোলার ও কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার মিনিস্ট্রি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রেমডেসিভির উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশের মতো রাজ্যে রেমডেসিভিরের স্টক পড়তির দিকে। এই ড্রাগকে আগে কেন্দ্রের তরফে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি ফের চালু করা হয়। কোভিডের যে সব রোগীদের মধ্যে জটিলতা বেশি তাদের ক্ষেত্রেই রেমডেসিভির ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলেন, রেমডেসিভির উৎপাদনও কয়েকগুণ বাড়ানো হচ্ছে। দেশে সাতটি সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করে। তাই চাহিদা থাকলে জোগানে কোনও সমস্যাই হবে না।উল্লেখ্য, হঠাৎ করে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিডের ওষুধ নিয়েও দিশাহীন বহু মানুষ।যার সুযোগ নিয়ে তিন-চার গুণ দামে রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ জমা পড়ছে কেন্দ্রের কাছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.