এনসিডিসির কোন বক্তব্য?
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানিয়েছে, করোনার নতুন 'ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট' ভারতের বুকে পাওয়া গিয়েছে। আর ভারতের বুকে খুঁজে পাওয়া এই মিউট্যান্ট B.1.617 আটটি দেশে পাওয়া গিয়েছে বিশ্বে। এই ভ্যারিয়েন্টই গোটা বিশ্বকে আতঙ্কে রেখেছে।
কেন এই ভ্যারিয়েন্টকে ভারত থেকে আসা ভ্যারিয়েন্ট মনে করা হচ্ছে?
প্রসঙ্গত, এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, B.1.617 ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের যে ৮ টি দেশে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে ৭০ শতাংশ নমুনাই ভারতের থেকে এসেছে। আর সেই জায়গা থেকে বহু বিশেষজ্ঞের দাবি, করোনার নতুন ডাবল মিউট্যান্ট স্ট্রেইনটি ভারতের থেকে জন্মেছে।
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে ডবল মিউটেশন!
প্রসঙ্গত, দেখা যাচ্ছে যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে দুটি স্ট্রেনের প্রভাব। E484Q,L425R এই দুটি স্ট্রেন ভারতের করনা সংক্রমণকে দ্বিগুণ করেছে। আরও এক ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে, যা উপরোক্ত ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ঘরানায় একটু আলাদা। এর জেরেই উত্তোরোত্তর ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন সংক্রমণ।
ভারতের নয়া স্ট্রেনের ধরণ কেমন?
গবেষণা বলছে, ভারতের নয়া স্ট্রেনটি ইউকে ও দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের স্ট্রেনের হাইব্রিড। এদিকে, কোভিশিল্ড ও কভ্যাক্সিন দক্ষিণ আফ্রিকার ও ইউকের স্ট্রেনের ক্ষেত্রে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হলেও তা পরবর্তীকালে ভারতের স্ট্রেনের ওপর কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ২,০০৭৩৯ জন। করোনার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১,০৩৮ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪০,৭৪,৫৬৪ জন।