নয়াদিল্লি: জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য ভারতের বর্ষা ঋতুতেও পরিবর্তন এসেছে। এমনই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। বর্ষা এদেশে আরও শক্তিশালী ও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন এর ফলে খাদ্য, কৃষিকাজ এবং অর্থনীতি বিশ্বের প্রায় এক পঞ্চমাংশ মানুষকে প্রভাবিত করবে। নতুন এই গবেষণা প্রায় ৩০টি ক্লাইমেট মডেলের মধ্যে তুলনা করেছে। এগুলি অতিরিক্ত বৃষ্টিপূর্ণ আবহাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সমুদ্র থেকে প্রবাহিত হয়।

পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের (পিআইকে) গবেষকরা জানিয়েছেন গরমের প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস বর্ষার বৃষ্টিপাত সম্ভবত পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। গবেষণায় শুধু এমন প্রবণতার কথা নিশ্চিতই করা হয়নি। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে বিশ্বজুড়ে উষ্ণায়নের ফলে ভারতে বৃষ্টিপাত আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের লিড লেখক আঞ্জা কাটজেনবার্গার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই উষ্ণায়ন একবিংশ শতাব্দীতে বর্ষার গতিবেগ প্রভাবিত করছে। এর ফলে ধান সহ বিভিন্ন শস্যের ক্ষেত্র জলমগ্ন হতে পারে। ফলে ক্ষতি হবে কৃষিকাজে। এছাড়া উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে গরম বাড়লে বর্ষা আরও তীব্র হবে।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারস লেভারম্যান বলেছেন, ভারতীয় সমাজ বর্ষার দ্বারা সামগ্রিকভাবে খুব প্রভাবিত। এর পরিবর্তন হলে শুধু কৃষিক্ষেত্রে নয় জনজীবনেও সমস্যা তৈরি হবে। যদি সড়পথ ও রেলপথ বন্যায় ডুবে যায় তবে এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতির উপর। বছরের পর বছর ধরে এভাব বর্ষার শক্তি বৃদ্ধির ফলে সমস্যা তৈরি হবে। ভারতের বর্ষা আরও বিশৃঙ্খলা হবে ও তা মানিয়ে নেওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

প্রাথমিকভাবে বর্ষার এই খামখেয়ালিপনার জন্য দায়ী অ্যারোসোল থেকে বায়ু দূষণ। এগুলি মূলত সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে এবং উষ্ণায়নকে ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে। ফলে বর্ষার বৃষ্টিপাত হ্রাস পায়। তবে, ১৯৮০ এর দশক থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে বর্ষা আরও শক্তিশালী এবং বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। উনিশ শতকের শেষের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা গড়ে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিটি বিশ্বের দেশগুলিকে সম্মিলিতভাবে বিশ্ব উষ্ণায়নকে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও তা সম্ভব হয়নি। উলটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন তা দ্রুত লক্ষমাত্রার বাইরে চলে যাচ্ছে। যার ফলে চিন ও ভারতে বর্ষায় অস্বাভাবিক বৃষ্টি দেখা দিচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।