তৃণমূলের খেলাতেই খুন আনন্দ বর্মন
তৃণমূলের হাতেই শীতলকুচিতে খুন হয়েছেন প্রথমবারের ভোটার আনন্দ বর্মন। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের খেলার জন্যই খুন হতে হয়েছে তাঁকে। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, আসলে এইসব খেলা দেখানোই তৃণমূলের উদ্দেশ্য।
মমতার চোখের জলে আনন্দ বর্মনের স্থান নেই
ভোট প্রচারে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ শীতলকুচিতে মৃত্যুর ঘটনায় মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের জল পড়েছে। কিন্তু তাতে আনন্দ বর্মনের স্থান নেই। তাঁর প্রশ্ন আনন্দ বর্মন রাজবংশী বলেই কি এই অনাচার। তিনি বলেন, শীতলতুচির গুলি কাণ্ডে শুধু চারজনের জন্যই দিদির চোখের জল পড়েছে।
১০ এপ্রিল দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু আনন্দ বর্মনের
১০ এপ্রিল ভোট দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল আনন্দ বর্মনের। এব্যাপারে আনন্দ বর্মনের বাবার অভিযোগ ভোটের কয়েকদিন আগে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। বড় ছেলেকে না পেয়ে ছোট ছেলের মারে দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ করেছেন তিনি। বিজেপিরও দাবি ১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মনকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি খুন করেছে বিজেপি। ভোটের পরে তদন্ত করে তিনি সব বের করবেন বলেও মাথাভাঙায় বুধবার জানিয়েছিলেন তিনি।
লাশের রাজনীতি মমতার, অভিযোগ বিজেপির
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার মাথাভাঙায় ১০ এপ্রিল মৃত্যু হওয়া ৫ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর মধ্যে মঞ্জে আনন্দ বর্মনের দাদু ও মামাকে হাজির করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই দুজনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের পরে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও মঞ্চে আনন্দ বর্মনের বাবা-মা কেউ হাজির ছিলেন না। জোর করে পরিবারের দুজনকে মঞ্চে হাজির করানো হয়েছিল বলে পরে অভিযোগ করেছেন আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাশের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।