সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে বচসা তৃণমূল নেতার
নানুরে গ্রামে গ্রামে পায়ে হেঁটেই প্রচার সারছেন বিদায়ী সিপিএম বিধায়ক শ্যামলী প্রধান। বুধবার বিকেলে সেখানে গিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তৃণমূল নেতা নুরমান শেখের সঙ্গে তর্কে জড়িতে পড়েন তিনি। তিনি সিপিএম প্রার্থীকে বলেন, যে রাস্তা দিয়ে তিনি গ্রামে এসেছেন, তা তৃণমূলের পঞ্চায়েতের করে দেওয়া। শ্যামলী প্রধান পাল্টা বলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের মনোনয়ন জমা না দিতে দেওয়ার কথা। বিধায়ক তহবিলের টাকাও খরচ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সিপিএমকে ভোট দিলে হাত কেটে নেওয়া হবে
তৃণমূল নেতা জানিয়ে দেন এই গ্রাম থেকে সিপিএম-এর কোনও ভোট নেই। এরপরেও যদি কেউ সিপিএমকে ভোট দেন, তাহলে তাঁর হাত কেটে নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তারপর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নানুরের সাধারণ মানুষ। তবে এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে প্রায় সারা বছর ধরেই নানুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলে। সেখানকার বাহিরী, কসবা, সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম বারবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে।
সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ
বিষয়টি নিয়ে সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী প্রধান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রচার সেরে বেরিয়ে আসার সময়েই তৃণমূল নেতা বাধা দেন। সেখানে কাউকে প্রচার করতে দেওয়া হবে বলেও তৃণমূল নেতা হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ করেছেন শ্যামলী প্রধান। এই হুমকি গ্রামের মানুষ ভালভাবে নেয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। সিপিএম প্রার্থীর পাল্টা প্রশ্ন রাজ্যটা কি তৃণমূলের।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া
এদিকে এই হুমকির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তরফে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, সবার প্রচারের স্বাধীনতা রয়েছে। তিনি ওই তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি পাল্টা বলেন, একটা সময়ে নানুনে সিপিএম খুনের রাজনীতি চালিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের শাসনে তা হয়নি। প্রসঙ্গত ২০১১-তে পরিবর্তনের বছরে তৃণমূলের প্রার্থী গদাধর হাজরার কাছে হেরে গিয়েছিলেন শ্যামলী প্রধান। কিন্তু ২০১৬-তে সেই শ্যামলী প্রধানই ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন।