মুম্বই: কোরোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা ভারতবর্ষে।আক্রান্তের নিরিখে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড করছে দেশ। গত ২৪ ঘন্টায় ২ লক্ষ অতিক্রম করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ। যার বেশিরভাগটাই দায়ী মহারাষ্ট্র বলা যেতে পারে। মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার। সে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধব সরকার। এবার করোনা মহামারীকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ আখ্যা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, আপনারা সকলেই জানেন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যখন দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছিল তখন গোটা দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাড়ে দশ লক্ষ। কিন্তু চলতি বছরে যখন দেশের সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ সামনে আসছে তখন শুধু মাত্র মহারাষ্ট্রে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষ। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেন করোনা মহামারীকে ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ হিসাবে আখ্যা দেওয়ার জন্যে। ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিলে রাজ্য সরকারগুলি ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল ব্যবহার করতে করতে পারবে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। প্রত্যেক রাজ্যের এখন প্রয়োজন অর্থের।মূলত, বন্যা, ভূমিকম্প, সাইক্লোনের মতন প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যগুলো এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে থাকে এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজে লাগায়।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রীকে মহারাষ্ট্রে অক্সিজেনের সরবরাহের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করার জন্যও আবেদন করেন।বর্তমানে রাজ্য ১২০০ এমটি লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন তৈরী করতে পারে। তবে বর্তমানে রাজ্যে ২০০০ এমটি অক্সিজেন দরকার।

উল্লেখ্য,মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮,৯৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের। যার জেরে করোনার কেস মহারাষ্ট্রে মোট দাঁড়িয়েছে ৩৫,৭৮,১৬০ জন।দেশে শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লক্ষেরও বেশি। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হল ১ হাজার ৩৮ জনের।দেশে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনার ভয়াল থাবায় এখন অবধি মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ১২৩ জনের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।