কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের রোষে এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ গ্যাসের ২৪ ঘন্টা সভায় বক্তব্য রাখা নিষিদ্ধ হল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাহুল সিনহা নির্বাচন কমিশনের রোষে পড়েছেন। এবার দিলীপ ঘোষের প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন । শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। ফলে ১৫ এপ্রিল সন্ধে ৭টা থেকে ১৬ এপ্রিল সন্ধে ৭টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবেন না তিনি।

আগেই বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর মন্তব্যের জেরে নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে । তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে কমিশন, এমনটাই জানা যাচ্ছে। দিলীপ ঘোষকেও কমিশন আগে নোটিশ দিয়েছিলো। দিলীপ ঘোষ তার জবাব দেন। কিন্তু কমিশন তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁকে ২৪ ঘন্টা সভায় বক্তব্য রাখতে নিষেধ করে নোটিশ দিল নির্বাচন কমিশন।

শীতলকুচি ইস্যুতে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর পরই বিজেপি নেতাকে শোকজ করেছিল কমিশন। তার জবাবও দিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু সেই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি কমিশন। আর তাই এবার তাঁর প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

সায়ন্তন বসুর শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের বিরুদ্ধেও তাঁকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। দিন কয়েক আগেই এক সভাতে বিজেপি নেতা দাবি এই প্রিয়সঙ্গে বলেন, “আমাদের সঙ্গে বেশি খেলতে আসবেন না। তাহলে আমরা শীতলকুচির মতো খেলা খেলব। প্রথমবারের জন্য ভোট দিতে গিয়ে নিহত হয়েছিল আনন্দ বর্মন। উনি আমাদের এক শক্তি প্রমুখের ভাই। এর বদলা নিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আমাদের। ওদের চারজনকে স্বর্গের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি।” তাঁর এই মন্তব্যে নির্বাচনীবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের।

তবে সবার আগে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহলে । পরে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার প্রচারেও ৪৮ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নোটিস জারি করা হয় দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধেও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।