শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম ও অষ্টম দফার অর্থাৎ ২৬ ও ২৯ এপ্রিল শেষ দুটি দফার নির্বাচনে কলকাতার ১১টি আসনে মানুষ তাদের মতদান করবেন। ২৬ এপ্রিল, সপ্তম দফায় কলকাতার ৪টি এবং ২৯ এপ্রিল অষ্টম দফায় কলকাতার ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। কলকাতায় শেষের এই দুই দফা নির্বাচনকে শান্তিতে ও অবাধে সম্পন্ন করতে লালবাজার এখন তৎপর। অতীতে আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে থেকেই কলকাতা পুলিশের একটা অংশের নামে একপেশে কাজের অভিযোগ বিরোধীরা তোলে। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তায় কলকাতার ভোট করতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ।

২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কলকাতা পুলিশের কমিশনার ছিলেন যিনি আজ তিনিই কলকাতা পুলিশের কমিশনার। তিনি হলেন সৌমেন মিত্র। এটাই সৌমেন মিত্রর পুলিশ কমিশনার হিসেবে শেষ নির্বাচন পরিচালনা করা। কারণ এই বছরই অবসর নিচ্ছেন সৌমেন মিত্র। তাই অবসরের আগে কলকাতার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, এবার পুলিশকর্মীদের যে ভাবে নির্বাচনের ডিউটি দিতে হচ্ছে, তা অতীতে কোনও দিন হয়নি। সব বিষয়টিই খুব গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। কোন বুথে কারা পোস্টিং থাকবেন সেই নামগুলি জানা যাবে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নির্বাচনের ঠিক দু’দিন আগে। সমস্ত পুলিশকর্মীদের নামের তালিকা সেখানে লালবাজার থেকে পাঠানো হয়ে গেছে। কমিশন জানিয়ে দিচ্ছে কোন কোন বুথে কারা কোন দায়িত্বে থাকবেন। সেই অনুযায়ী লালবাজার পুলিশ কর্মীদের ডিউটিতে পাঠাচ্ছে। পুলিশকর্মীরা পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহ করছেন ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ।

এর অর্থ লালবাজার থেকে কোন পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী কোথায় নির্বাচনের দিন কাজ করবেন সেটা লবাজারকে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিসিং। লালবাজারকে সজাগ দৃষ্টিতে নজর রাখতে হচ্ছে কমিশনের নির্দেশের দিকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ লালবাজার সঠিকভাবে মঞ্চে কি না সেট নজরদারি করছে নির্বাচন কমিশন।

লাঠিধারী পুলিশকর্মীরা ২৬ ০ ২৯ এপ্রিল ভোটের বুথে মূলত ভোটারদের লাইন সামলানোর কাজ করবেন। বুথের সামনে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

যে সমস্ত এলাকায় কলকাতা পুলিশকে কড়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সেগুলি হল, বেলেঘাটা, এন্টালি এবং বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ বুথ। ইতিমধ্যে মেটিয়াবুরুজে নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বড় গন্ডগোল হয়নি। বেহালাতেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।

তাই কলকাতা পুলিশ আশাবাদী কলকাতায় শেষ দুই দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই হবে। তবে লালবাজারের মূল চিন্তা রয়েছে বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। করোনা বিধি পুরোপুরি মেনে কী ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা যায়, সেদিকেই এখন কড়া নজর লালবাজারের। লালবাজারের কাছে নির্বাচনে সংঘর্ষের মতোই এখন বড় চিন্তার কারণ করোনা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।