পঞ্চম দফা ভোটের আগে করোনা বিধি নিয়ে তৎপর কমিশন, রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া নির্দেশ

রাজ্যেও করোনা চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি।তারমধ্যে পঞ্চম দফার ভোট শনিবার। করোনা বিধি নিয়ে এবার তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটের আগেই তাই সব রাজনৈতিক দলগুলিকে করোনা বিধি মেনে চলার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে। প্রতি বুথে কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে কাজ করতে হবে অফিসারদেরও।

পঞ্চম দফার ভোট রাজ্যে

১৭ এপ্রিল শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট গ্রহন। মোট ৪৫টি কেন্দ্রে হবে ভোট গ্রহন। করোনা বিধি মেনে ৭২ ঘণ্টা আগেই প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ করা হলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার কারণে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম দফায় রাজ্যের ১.১৩ কোটি ভোটার ভোট দেবেন। ৩৪২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেদিন। সকাল ৭টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। মোট ১৫,৭৮৯টি বুথে হবে ভোট গ্রহন।

করোনা বিধি নিয়ে নির্দেশিকা

করোনা সংক্রমণ রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে এবার তৎপর নির্বাচন কমিশনও। পঞ্চম দফার ভোটে যাতে করোনা বিধি মেনে সকলে কাজ করেন তার জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলিকেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভোট কর্মী এবং পোলিং অফিসারদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটের লাইনে ভোটাররা যাতে অন্তত ২ ফুটের দূরত্ব বজায় রেখে চলেন সেদিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারসঙ্গে স্যানিটাইজেশন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ বুথে না ঢোকেন সেদিকে নজর রাখার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

প্রচার তুঙ্গে

করোনা বিধি তুড়িতে উড়িয়ে চলছে প্রচার। যেখানে একদিনে রাজ্যে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২২ জন। তার মধ্যে পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই সব দূরত্ব বিধি তুড়িতে উড়িয়ে প্রচার চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। কলকাতা শহর থেকে জেলা সর্বত্র মিটিং, মিছিল, রোড শো, জমায়েতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের ভিড়। মাস্ক না পরেই তাঁরা মিটিং মিছিল করেছেন।

করোনা বাড়ছে রাজ্যে

অন্যান্য রাজ্যের মতই করোনা কংক্রমণ বেড়ে চলেছে রাজ্যে। একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৭৬৯ জন। সর্বাধিক সংক্রমণ হচ্ছে শহর কলকাতায়। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। রাজ্যে সুস্থতার সংখ্যা কমছে। বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। করোনা আক্রান্ত হয়ে সামশের গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী মারা গিয়েছেন। জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

শীতলকুচি নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য, এবার দিলীপের প্রচারে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের