বেশ কিছু দিন ধরেই সিবিএসই ও আইসিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন নিয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পিতা মাতার মধ্যে একটা দাবি উঠেছিল। কারণ হিসেবে মূলত বলা হয়েছিল যে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে যখন প্রত্যেকদিন এক লক্ষ লোক সংক্রমিত হচ্ছে তখন পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক। ৮ এপ্রিল ২০২১, সিবিএসই ও আইসিএসএ যৌথ বিবৃতি দিয়ে দাবি করছেন যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে হচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পরীক্ষা কেন্দ্র বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবং পরীক্ষা চলাকালীন তাদের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে তা সুনিশ্চিত করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এবং পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

কোভিড বৃদ্ধি কালে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে নেট মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বা অনলাইনে পরীক্ষা নেবার দাবিতে গণ সাক্ষর কর্মসূচি পালন করে। পিটিশন ও জমা দেওয়া হয়। Change.org তে পাওয়া একটি পিটিশন মতে ” যখন ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে তখন পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না, করোনা সূচনা কালে যখন এত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল না, তখন স্কুল বন্ধ হয়ে পরীক্ষা চলাকালীন মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা এই বিষয়ে সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণের আবেদন করছি।” সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতেও হ্যাশট্যাগ “cancelboardexams” দিয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও তাদের মা বাবারা প্রচার করেছিলেন।

চাপের মুখে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপে সিবিএসই জানিয়ে দেয় যে এই বছর তাঁদের দশম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ১ জুনের পর এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে কার্যতই আইসিএসইর ওপর ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের চাপ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।

এই পরিস্থিতিতে জানা জাচ্ছে যে খুব শীঘ্রই পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আইসিএসই। এবং শিক্ষাবিদদের মতে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া বা পরীক্ষা স্থগিত করা ছাড়া তাঁদের কাছে আর কোন উপায় নেই। ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়মিত আইসিএসই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখার পরামরশ দেওয়া হচ্ছে। কারন পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিজ্ঞপ্তি সেখানেই প্রকাশিত হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।