বাড়ছে মৃতদেহের সংখ্যা
শহরের শ্মশান ঘাটের দায়িত্বে থাকা রাম নাগিনা ত্রিপাঠি বলেন, ‘শেষ কিছুদিন ধরে মৃতদেহের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণত প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি দেহ আসে এবং ভৈনসাকুণ্ডের শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লিতে ৫ থেকে ১০ টি দেহ পোড়ানো হয়।' তিনি আরও বলেন, ‘গুলালঘাটে, রীতি মেনে সাধারণত ৭-১০টি দেহ পোড়ানো হয় এবং বৈদ্যুতিন চুল্লিতে পোড়ানো হয় ৪-৬টি দেহ। কিন্তু আচমকাই এইসব শ্মশানগুলিতে গত শুক্রবার থেকে মৃতদেহের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।'
শ্মশানঘাটে কোভিড রোগীর দেহ
রবিবার, ৪২টি দেহ নিয়ে আসা হয় ভৈনসাকুণ্ডে এবং ২৭টি দেহ গুলালঘাটে। সোমবার ভৈনসাকুণ্ডে ৫৭টি দেহ ও গুলালঘাটে ২৯টি দেহ আসে। অধিকাংশ দেহই কোভিড পজিটিভ রোগীদের। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত ৫৭টি দেহ শ্মশানঘাটে আসে, যার মধ্যে ৩৮টি ভৈনসাকুণ্ডে এবং ১৯টি গুলালঘাটে বলে জানিয়েছেন ত্রিপাঠি। তিনি এও জানান যে লখনউ সংলগ্ন এলাকার কোভিড রোগীদের দেহও এখানে শেষকৃত্যের কাজ করা হচ্ছে, কারণ অনেক শ্মশানেই এইসব দেহ পোড়ানোর অনুমতি নেই।
অন্যান্য জেলার দেহ দাহ করার হচ্ছে
ত্রিপাঠি বলেন, ‘অন্যান্য জেলায় এই দেহগুলিকে কারুর স্পর্শ করারও ইচ্ছা নেই। কিন্তু এখানে আণরা লোকবলকে এইসব সংক্রমিত দেহ পোড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করেছি এবং সে কারণে সীতাপুর, বরানবাকি, রায় বরেলি, হরদৌই, জগদীশপুর, সুলতানপুর থেকে দেহ এখানে শ্মশানে আসে।'
দেহ বহন করতে ১০০ জন কর্মী
লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সংক্রমিত দেহ বাস থেকে শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি ভিত্তিতে ১০০ জন কর্মীকে নিয়োগ করেছে। এই কর্মীদের পিপিই কিট, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। এঁরা দু'টি সময়ে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পুরনিগমের কমিশনার অজয় দ্বিবেদী।
৫০টি অতিরিক্ত মঞ্চ
ভৈনসকুণ্ড ও গুলালঘাটে দেহ পোড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ৫০টি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে পুরনিগম।
কাঠের অভাব নেই
প্রচুর শ্মশানের কাজের কারণে গত তিন দিনের শ্মশানে কাঠের ঘাটতি ছিল, তবে সমস্যাটি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর কমিশনার অজয় দ্বিবেদী।
কবরস্থানেও একই রকম ব্যবস্থা
শহরের কবরস্থান এবং সমাধি স্থানেও মৃতদেহের সংখ্যা বেড়েছে। মৌলানা খালিদ রসিদ ফরাঙ্গী মাহালি, ইদগার ইমাম বলেছেন, তিনি এত কবর কখনও এক সঙ্গে দেখেননি। তিনি লোকেদের বাড়ির ভিতরে থাকতে এবং কোভিড -১৯ নির্দেশকে কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে আইসবাগ কবরস্থানে গত দশদিনে ২০০ টির বেশি দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে।