নয়াদিল্লি: একটা সময় বেশির ভাগ মানুষের উদ্বৃত্ত অর্থের গন্তব্য ছিল ব্যাঙ্কের মেয়াদি আমানত বা পোস্ট অফিসের সরকারি প্রকল্প। সুদ ছিল ভালই। জমানো অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে দ্বিগুণ হত। সেই সঞ্চয়ে সন্তুষ্ট থাকতেন সকলে।নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে এই প্রবণতা বদলাতে থাকে। অনেকেই টাকা ঢালতে শুরু করেন শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ঋণপত্রে। দুনিয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও সুদ কমতে শুরু করল। আর এখন তো ব্যাঙ্কের মেয়াদি আমানতে ৬%-৬.৫% পাওয়াটাই বিরাট ব্যাপার। সুদ কমছে স্বল্প সঞ্চয়েও।

এমতবস্থায় কী করে নিজের বিনিয়োগকে সুরক্ষিত রাখবেন, তা জানা অত্যন্ত জরুরি।পাশাপাশি, কত কম সময়ে বিনিয়োগ করে দ্বিগুণ টাকা পাওয়া যেতে পারে তারও একটা হিসেব থাকা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটু বুদ্ধি করে ও হিসেব করে বিনিয়োগ করলে এখনও অনেক বেশি পরিমাণ টাকা ফেরত আসতে পারে।

আয়কর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘Rule of 72’ অনুসরণ করে বিনিয়োগ করলে সহজেই বিনিয়োগের দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা মেয়াদ শেষে পাওয়া যাবে। কিন্তু কী এই ‘Rule of 72’। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে প্রকল্পে টাকা জমা রাখা হচ্ছে, সেই প্রকল্পের সুদের হার দিয়ে ৭২কে ভাগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে, তত বছর টাকা সেই প্রকল্পে রাখলে তবে দ্বিগুণ টাকা পাওয়া যাবে।

উদাহরণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, ধরা যাক কোনও মেয়াদি আমানতে আপনি টাকা বিনিয়োগ করবেন। সেই ক্ষেত্রে সুদের হার বর্তমানে ৬ শতাংশ। যদি ধরে নেওয়া যায় এই সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে, তাহলে ৭২/৬ অর্থাৎ ১২ বছর ধরে আপনি টাকা জমা রাখলে জমা টাকার দ্বিগুণ টাকা পাবেন।কিংবা, পিপিএফ প্রকল্পে সুদের হার ৭.১ শতাংশ। যদি এই প্রকল্পে টাকা রেখে দ্বিগুণ করতে চান, তাহলে ৭২/৭.১ অর্থাৎ ১০ বছর ধরে টাকা রাখলে তবেই আপনার টাকা দ্বিগুণ হতে পারে।

আবার নির্দিষ্ট সময়ে আপনার টাকা দ্বিগুণ করার জন্য আপনাকে কতটা সুদের হারের প্রয়োজন তা জানতে ‘Rule of 72’ নিয়মটি বিপরীতভাবে ব্যবহার করতে পারেন।উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ৫ বছরে টাকা দ্বিগুন করতে চান তাহলে ৭২কে ৫দিয়ে ভাগ করুন। অর্থাৎ ভাগফল ১৪.৪ শতাংশ সুদের হারে বিনিয়োগ করতে হবে। তবে টাকা দ্বিগুন হবে।

আপনার সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বেশি সুদের হারে বিনিয়োগ দরকার।তবে আপনি যদি একটু বেশি সময় দেন তবে একটা মোটা অর্থ পেতে পারেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।