কলকাতার ৫০ শতাংশ আসন টার্গেট বিজেপির
কলকাতা জেলার ১১টি আসন রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল জয়যুক্ত হয়েছিল সবকটিতেই। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অবশ্য তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়েছিল। এই অগ্রগমনই বিজেপিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই বিজেপি এবার কলকাতা জেলার অর্ধেকের বেশি আসন টার্গেট করেছে।
একুশের ভোটে ১১-র ৬টি আসন চায় বিজেপি
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কলকাতা জেলার ১১টি আসনের মধ্যে ৬টি আসন জিততে চায়। তিনটি আসনে তারা এগিয়ে আসছে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের নিরিখে। আরও তিনটি আসনে তারা লড়াইয দেবে বলে মনে করছে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে মোট ৬টি আসনে বিজেপি জয়ের পথ খুঁজছে।
বিজেপির অনুপ্রবেশের ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতাতেও
শনিবার পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণের আগে শহরাঞ্চলে অনুপ্রবেশের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি বলছে- সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন অনুপ্রবেশের সমস্যা সীমান্ত থেকে অনেক দূরে কলকাতায়ও প্রবেশ করবে। অন্যান্য দল এই সমস্যার নিরসন করতে পারবে না। কেবল বিজেপিই তা থামাতে পারে।
বামেরা পারেনি, তৃণমূলও পারবে না, বিকল্প বিজেপি
বামপন্থীরা ৩৪ বছর ধরে শাসন করে গিয়েছে বাংলায়। স্বভাবতই সারা দেশ ভাবতে শুরু করেছিল বাংলা ডানপন্থী মতাদর্শের বিরোধী। কিন্তু বাংলার রাজধানী কলকাতা বাম আমলেও কংগ্রেস পরে তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। বিজেপি সেই সূত্র ধরেই শহরের ভোটারদের কাছে আবেদন করতে শুরু করেছে এবার মমতার বিকল্প বাছুন বিজেপিকে।
প্রগতিশীল ভোটারদের বেছে নিয়েছে বিজেপি
বিজেপি কলকাতা শহর ও শহরতলিতে বেশ কয়েকটি বুদ্ধিজীবী সভা ও পথসভা করেছে। প্রগতিশীল ভোটারদের তারা বেছে নিয়েছে শহরের মন জিততে। শহুরে ভদ্রলোক শ্রেণি দীর্ঘদিন ধরে বামদের সাথে ছিল। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশ ২০১১ সালের আগে থেকেই তৃণমূলে চলে যায়। এবার তাদেরকেই টার্গেট করছে বিজেপি।
বিজেপিকে বেছে নিন বিকল্প হিসেবে
গ্রামের ভোটে বিজেপি এবার কাটমানি ইস্যুতে সরব হয়েছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু শহরাঞ্চলের মানুষ এই কাটমানি ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামাবে না। তাই ইস্যু পরিবর্তন করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও অনুপ্রবেশের মতো বিষয় উত্থাপন করে বিজেপি। বিজেপির আবেদন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ না হলে আর কোনও আপস না করে বিজেপিকে বেছে নিন বিকল্প হিসেবে।