চেন্নাই: যত সময় এগোবে টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ হিসেবে আরও কঠিন হয়ে উঠবে তাঁর দল। তবে এখনই বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাসে রাজি নই। সাত বছর পর আইপিএলের প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে এমনটাই জানালেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বুধবার ১৪৯ রানের পুঁজি নিয়েও চেন্নাই’য়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামকে সানরাইজার্সকে ৬ রানে হারানোর পর প্রশংসিত হচ্ছে কোহলির অধিনায়কত্ব।
তবে ১৭তম ওভারে তিন উইকেট নিয়ে এদিন ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ জয়ের নায়ক শাহবাজ আহমেজ। ওয়ার্নারের ঝোড়ো অর্ধশতরানের জনি বেয়ারস্টো, মনীশ পান্ডে এবং আব্দুল সামাদের উইকেট তুলে নিয়ে একাই খেলার পটপরিবর্তন করে দেন কোহলির দলের বঙ্গ-স্পিনার। আর ম্যাচ জিতে কোহলি বলছেন, ‘ক্লান্ত নই বরং আমি গর্বিত দলের এই পারফরম্যান্সে। আমাদের জন্য এটা একটা টপ গেম ছিল এবং এখান থেকে পরবর্তীতে টুর্নামেন্ট আরও কঠিন হতে চলেছে। সত্যি বলতে আমরা প্রথম দু’ম্যাচে জয় পেয়ে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসে ভাসতে রাজি নই।’
আরসিবি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘কেকেআর বনাম মুম্বই ম্যাচ আমরা দেখেছি তাই কখনোই মনে হয়নি আমরা খেলা থেকে হারিয়ে গিয়েছি। ওই ম্যাচের ফলাফল মিডল ওভারগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্সে বাড়তি প্রভাব ফেলেছে।’ স্বল্প পুঁজি নিয়ে দলের বোলারদের প্রতি তাঁর বার্তা কী ছিল? উত্তরে কোহলি বলেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম আমাদের ১৪৯ রান তুলতে যদি কসরৎ করতে হয় তাহলে প্রতিপক্ষের জন্যও এটা কঠিন হবে। আমার বিশ্বাস ছিল ১৫০ রান হাতে নিয়েও জয় সম্ভব। উইকেট কখনোই আহামরি বলে মনে হয়নি আর চাপের মুখে আমাদের কার্যকারিতা দেখার মতো ছিল। পুরনো বলে এই উইকেটে খেলা সময়ের সঙ্গে আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।’
ম্যাচ শেষে ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং’য়ের প্রশংসা শোনা যায় কোহলির গলায়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অজি ব্যাটসম্যান সফল হওয়ার পর কোহলি বলেন, ‘রানটাকে ১৫০-র কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে ম্যাক্সি আমাদের মোমেন্টাম এনে দিয়েছিল।’ উল্লেখ্য, যোগ্য সঙ্গীর অভাবেও ৪১ বলে ৫৯ করে (৫টি চার, ৩টি ছয়) শেষ বল অবধি ক্রিজে থেকে দলের রান ১৪৯-এ পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল। একইসঙ্গে ২ ম্যাচে ৭ উইকেট ঝুলিতে নিয়ে অধিনায়কের প্রশংসা পেয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে আরসিবি’তে যোগ দেওয়া পেসার হর্ষল প্যাটেল।
কোহলি বলেন, ‘আমাওরা একটা পরিকল্পনা করেই ওকে দিল্লি থেকে নিয়ে এসেছি। ওর একটা বিশেষ ভূমিকা এই দলে রয়েছে।’ আগামী রবিবার জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে চেন্নাই’য়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি আরসিবি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.