নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতীদের জনজীবন। একের পর এক রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার করোনা থাবা বসাচ্ছে সেনা ক্যাম্প গুলোতে। সবথেকে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন সীমান্তে কর্মরত জওয়ানরা। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছে সেনা জওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিএসএফ-এর ৪৬৩ জন জওয়ান। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৬২ জন বিএসএফ জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আধা সামরিক বাহিনীর ৫৭৭ জন জওয়ানের কোভিড ১৯ সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের হয়েছে ৩০ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সিআইএসএফ-এর ৪৮ জন জওয়ান কোভিড ১৯ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ২৩ জন SSB জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিগত ২৪ ঘণ্টায়।ITBP ১২ জন জওয়ানের করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে বুধবার। র্তমানে দেশের মোট ২৭২৭ জন আধা সেনা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও বিএসএফের তুলনায় অন্যান্য ফোর্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কম।সীমান্তে কর্মরত জওয়ানরা আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রের।
ইতিমধ্যেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে একাধিক রাজ্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের মধ্যে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে জারি ১৪৪ ধারা। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, লকডাউনে সায় নেই প্রশাসনের। তবে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের। বুধবার রাত আটটা থেকে জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। ১৫ মে পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৮,৯৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৮ জনের। যার জেরে করোনার কেস মহারাষ্ট্রে মোট দাঁড়িয়েছে ৩৫,৭৮,১৬০ জন।
দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া নয়া পন্থার আশ্রয় নিয়েছে সেখানের প্রশাসন। দিল্লিতে হাসপাতালের সংখ্য়ার কমতি দেখা যাওয়ায় সেখানের কিছু হোটেলগুলির সঙ্গে হাসপাতালগুলিকে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.