স্বজনহারাদের দেখে চোখে জল মমতার, আনন্দ বর্মনের পরিবারকেও সাহায্যের আশ্বাস

চতুর্থ দফা ভোটে পাঁচ জন সাধারণ ভোটারের নির্মম হত্যার পর শীতলকুচিতে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারিতে তা সম্ভব হয়নি। কথা দিয়েছিলেন নিষেধাজ্ঞা উঠলেই তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। সেইমতো মাথাভাঙায় নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কেঁদে ভাসালেন মমতা।

স্বজনহারা পরিবারগুলোর পাশে আমি আছি, বললেন মমতা

স্বজনহারা পরিবারগুলিকে দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি মমতা। তাঁর চোখেও জল চলে আসে। কান্নাভেজা গলাতে তিনি বলেন, এই স্বজনহারা পরিবারগুলোর পাশে আমি আছি। ভোট মিটে যাক রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সব করব। সবাই শান্ত থাকুন। কেউ উত্তেজিত হবেন না। দোষীরা শাস্তি পাবেই।

আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা মমতার

শুধু জোরপাটকির সংখ্যালঘু চার পরিবার নয়, পাঠানটুলির আনন্দ বর্মনের পরিবারও এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। মমতা বলেন, এঁরা সবাই রাজবংশী। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদের কোনও প্রশ্ন নেই। কোনও মৃত্যুরই বিকল্প নয় অর্থ। তবু মৃতদের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে রাজ্য সরকার। নিহত পাঁচজনের জন্যই শহিদ বেদি তৈরি করা হবে।

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে মমতা সকাশে আনন্দ-পরিবার

প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই ভোটের লাইনে মৃত্যু হয়েছে আনন্দ বর্মনের। আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকাহত নন বলে বারবার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। আনন্দ বর্মনের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন না বলেও খবর রটানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ উড়িয়ে আনন্দ বর্মনের দাদু ক্ষীতীশচন্দ্র রায় তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

ক্ষমতা এলে সঠিক তদন্তেরও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমরা অর্থ চাই না, আমরা চাই সঠিক তদন্ত। মমতা পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নিয়ে বলেন, যাঁকে হারিয়েছি আমরা তাঁকে তো আর ফিরে পাবো না। পরিবারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, দেখব আমরা। ভোট মিটলেই ব্যবস্থা নেব। ক্ষমতা এলে সঠিক তদন্তেরও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।

কাউকে ছেড়ে কথা বলব না, দোষীরা শাস্তি পাবেই, মাথাভাঙায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে হুঙ্কার মমতার

Know all about
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।