মাথাভাঙায় মমতা
চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে চার জনকে গুলি করে মেরেছে সিআরপিএফ জওয়ানরা খবর পাওয়ার পরেই মাথাভাঙায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উত্তেজনা ছড়াতে পারে আসঙ্কায় ৭২ ঘণ্টা মাথাভাঙায় সব রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। তারপরে আর যাওয়া হয়নি তাঁর। কিন্তু মাথাভাঙায় যাওয়ার জেদ ছাড়েননি মমতা। ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা েশষ হতেই মাথাভাঙায় পৌঁছে গেলেন মমতা।
শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা
চতুর্থ দফার ভোটে সিআরপিএফের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। মাথাভাঙা হাসপাতালে পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন। সেখানে শহিদ স্মরণে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে জোরপাটকি গ্রামে সিআইএসএফের গুলিতে মৃত চার জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। ছিলেন পাঠানটুিল গ্রামে ভোটের লাইনে মৃত আনন্দ বর্মনের পরিবারও। আনন্দ বর্মনের বাবা উপস্থিত না থাকলেও ছিলেন তাঁর দাদু। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের গুলিতে আনন্দ বর্মন মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
মমতার হুঙ্কার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বলেছেন, যাঁরা দোষী তাঁদের শাস্তি হবেই। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তার জন্য যতদূর যাওয়া যাবে ততদূর যাবেন তিনি। মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারগুলিকে দেখার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। তবে নির্বাচনের কারণে এখনই কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না তিনি। মাথাভাঙায় পাঁচটি শহিদ বেদী তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি নিজে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
অমিতকে মোক্ষম জবাব
আনন্দ বর্মনের নাম করছেন না মমতা। তিনি রাজবংশী বলে তাঁর নাম মুখে আনছেন না। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের জন্য কেবল জোরপাটকির মৃতদের নাম করছেন তিনি। আনন্দ বর্মনের দাদু মমতার কাছে আসায় এক প্রকার অমিত শাহকে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহের ধর্মীয় মেরুকরণের তাস ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন মমতা। মাথাভাঙা থেকে মমতা এই বুলেটের জবাব ব্যালটে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন।