চেন্নাই: মিডল-অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং’কে কাজে লাগানোর কথা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলেন আরসিবি’র ক্রিকেটিং ডিরেক্টর মাইক হেসন। মুম্বই’য়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই জ্বলে ওঠার বার্তা দিয়েছিলেন অজি পিঞ্চ-হিটার। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যানেজমেন্টের তাঁর প্রতি আস্থার দাম রাখলেন ম্যাক্সওয়েল।
মূলত তাঁর অর্ধশতরানে ভর করেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে কোনক্রমে ১৫০ রানের টার্গেট দিল আরসিবি। বুধবার চেন্নাই’য়ে আরসিবি ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যে উজ্জ্বল ম্যাক্সওয়েল। জেসন হোল্ডার, রশিদ খানদের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের ভিড়ে ৪১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস এল অজি ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৯ বলে ৩৩ রান করলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
টস জিতে এদিন আরসিবি’কে প্রথমে ব্যাটিং’য়ে আমন্ত্রণ জানায় সানরাইজার্স। কিন্তু করোনা সারিয়ে আইপিএলে প্রত্যাবর্তনটা ভালো হল না ওপেনার দেবদূত পারিক্কলের। ১৪ রানে ফিরলেন শাহবাজ আহমেদ। আরসিবি’র লম্বা পার্টনারশিপ বলতে তৃতীয় উইকেটে বিরাট-ম্যাক্সওয়েলের ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। এরপর ২৯ বলে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হন আরসিবি অধিনায়ক। বিরাটের ইনিংসে ছিল ৪টি চার।
হোল্ডারের বলে শংকরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাগ-আউটে ফেরার সময় হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কোহলির। এরপর সানরাইজার্স বোলারদের দাপটে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। একা কুম্ভে লড়াই চালিয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শেষদিকে ব্যাটে ঝুড় তুলে নিজে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পঞ্জাব কিংসের প্রাক্তনী। এবং আরসিবি’কে দেড়শো রানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ৫৯ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার এবং তিনটি ছয়ে। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন তিনি। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে শেষ করে আরসিবি।
সানরাইজার্সের হয়ে ২টি উইকেটে নেওয়ার পাশাপাশি সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করলেন লেগ-স্পিনার রশিদ খান। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন রশিদ। আফগান স্পিনার বোঝালেন কেন তিনি টি-২০ ক্রিকেটের সেরা। পাশাপাশি তিন উইকেট নিয়ে আরসিবি ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার কাজটা করলেন পরিবর্ত জেসন হোল্ডার। গত ম্যাচের একাদশ থেকে এদিন দু’টি পরিবর্তন আনে সানরাইজার্স। মহম্মদ নবির পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন হোল্ডার।
অন্যদিকে সন্দীপ শর্মার পরিবর্তে এসেছেন শাহবাজ নাদিম। আরসিবি’র একাদশে পরিবর্তন বলতে রাজেশ পতিদারের পরিবর্তে পারিক্কলের দলে আসা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.