শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : শীতলকুচিতে প্রথম ভোটার আনন্দ বর্মণের দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনীতি চলছেই। বুধবার রাজ্যে এসে আনন্দ বর্মণের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দলিত বিরোধী বলে বিঁধলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আর এই মন্তব্যের জন্য জে পি নাড্ডাকে “মূর্খ” বলে সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “জে পি নাড্ডা কিছুই জানেন না। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছেন। এভাবে রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। নাড্ডা বাংলা সম্পর্কে কিছু জানেন না।”
শীতলকুচির আনন্দ বর্মণের মৃত্যু নিয়ে তাই বিজেপি-র সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেলো বলে সৌগত রায় দাবি করেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচির নতুন ভোটার আনান্দ বর্মণের বাবা ও দাদুর সঙ্গে দেখা করেছেন বুধবার। ওদের সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রচার করছিল আনন্দের বাড়ির লোকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না। আসলে জে পি নাড্ডা মূর্খ লোক। বাংলা সম্পর্কে নাড্ডা কিছু জানেন না। রাজ্যে সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য, মেরুকরণের রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি জানেন না বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবেন না। ওদের সব প্রয়াস ব্যর্থ হবে। মুখ্যমন্ত্রী মৃত আনন্দ বর্মণ ও বাকি ৪ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনের পর ৫ জনের নামেই শহিদ বেদি তৈরী করতে। আর জে পি নাড্ডা বলছেন মমতা সরকার দলিত বিরোধী। কারা ওনাকে এসব তথ্য দিচ্ছেন?”
উল্লেখ করা যেতে পারে, চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন শীতলকুচিতে আনন্দ বর্মণ নামের একজন প্রথম ভোটার দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া সেন্ট্রাল আর্ম পুলিশের গুলিতে ৪জন মারা গেছেন নির্বাচনী বুথের সামনে। রাজবংশী এই পাঁচজনের মৃত্যু নিয়ে একটা বিভাজন রেখা তৈরী করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব, অভিযোগ তৃণমূলের। বিজেপি প্রচার করছিল আনন্দ রাজবংশী বলে মমতা তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন না। আনন্দ দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যাওয়ার পর বিজেপি মৃতকে নিজেদের দলের বলে বলতে শুরু করে। বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দের নাম মুখে আনছেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বলেন, “আনন্দ বর্মণের মতো বাকি যে চারজন মারা গেছেন তারাও রাজবংশী। কেউ রাজবংশী হিন্দু কেউ রাজবংশী মুসলমান। বিজেপি শুধু একজনের সঙ্গে অন্যজনের ঝগড়া লাগিয়ে দেয়।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.