কলকাতা : রাজ্যে এসে পৌঁছল তিন লক্ষ কোভিশিল্ড ডোজ। সূত্রের খবর রাত ১০টায় আরও ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন এসে পৌঁছবে। শুক্রবারের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে সরবরাহের কাজ। এদিকে, করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য়ে। তার উপর দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিনের আকাল। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতেও বেডের সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে।

তাই এবার সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এতদিন সরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনার জন্য বেডের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬০৪টি। এবার তা ১ হাজার ৮২৪টি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মোট বেড সংখ্যা দাঁড়াবে ৭ হাজার ৪২৮টি।

রাজ্যে ক্রবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জেলাশাসকদের সঙ্গে ইতিমধ্য়েই ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই করোনা রুখতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয় নবান্নের তরফে। রাজ্যের যে ১০ টি জেলায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, সেই জেলাগুলিতে করোনা রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পয়লা বৈশাখ আড়ম্বরহীন ভাবে করে অনুষ্ঠানে ভিড় কমানোর দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভাকে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।

যে সব হাসপাতালে বেড বেড়েছে তার মধ্যে রয়েছে এম আর বাঙুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বেলেঘাটা আইডি এবং চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার হাসপাতাল। জানা গিয়েছে এম আর বাঙ্গুরে ২৭২টি বেড বাড়ানো হচ্ছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩৬০টি বেড বাড়ছে। বেলেঘাটা আইডি-তে সংযোজিত হচ্ছে ১৫০টি বেড। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার হাসপাতালে ২৭৫টি বেড বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর।

এদিকে, নির্বাচনের মধ্যে রাজ্যে সংক্রমণের ধারা অব্যাহত। এদিন ফের করোনা আক্রান্ত হলেন ৪৮১৭ জন। নতুন করে মৃত্যু হল ২০ জনের। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় যে রাজ্যে রীতিমতো প্রভাব বিস্তার করেছে তা আর বলে দিতে হয় না, স্পষ্ট সংখ্যাতেই।

রাজ্যের মধ্যে করোনা সবচেয়ে বেশি দাঁত ফুটিয়েছে কলকাতাতেই। কারণ তিলোত্তমায় এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১২৭১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অর্থাৎ গোটা রাজ্যে এদিন করোনার জেরে যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে কলকাতাতেই। ফলে কলকাতা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।