নয়াদিল্লি: করোনার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মধ্যে টিকা সঙ্কট মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। একাধিক রাজ্য থেকে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। যদিও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্বাস্থ্যসচিব। এমনকী দেশে ভ্যাকসিনের কোনও অভাব নেই বলেও জনিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে।পরিসংখ্যান বলছে, গতকাল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে অব্যবহৃত ডোজের সংখ্যা ১ কোটি ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার। কেন্দ্রে দাবি এই পরিসংখ্যানই দেখিয়ে দিচ্ছে গোটা দেশে আসলে টিকার কোনো ঘাটতিই নেই।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ডিজি বলেন, রেমডেসিভির উৎপাদনও কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। দেশে সাতটি সংস্থা এই ওষুধ তৈরি করে। তাই চাহিদা থাকলে জোগানে কোনও সমস্যাই হবে না।উল্লেখ্য, হঠাৎ করে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোভিডের ওষুধ নিয়েও দিশাহীন বহু মানুষ।যার সুযোগ নিয়ে তিন-চার গুণ দামে রেমডেসিভির বিক্রি হচ্ছে বলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ জমা পড়ছে কেন্দ্রের কাছে।আজ রাতেই আরও ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিনও এ রাজ্যে এসে পৌঁছচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যার বলে খানিকটা স্বস্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

অপরদিকে করোনার সংক্রমণে লাগাম টানতে এবার রাশিয়া থেকে ভারতে আসছে প্রায় ৫০ মিলিয়ন রাশিয়ান করোনার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি। করোনাকে প্রতিহত করতে এবং আরও ভালোভাবে দ্রুত টিকাকরণ চালিয়ে যেতে স্পুটনিক- ভি এর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল। সোমবার এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

১১ কোটি টিকা দেওয়া প্রথম দেশ হল ভারত। ৮৫ দিনের মধ্যে এই গণ্ডি পার করে ভারত। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিনের মতো দেশকে পিছনে ফেলে দেয় ভারত। উল্লেখ্য, ভারতে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি। দৈনিক হারে ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ করোনা টিকা পাচ্ছে।উল্লেখ্য,কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১,০২৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৩৩৯ জন। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩,৬৫,৭০৪।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।