চেন্নাই: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে নাইটদের লজ্জাজনক হারে রাসেল-কার্তিকের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ৷ শেষ পাঁচ ওভারে ৩১ রান তুলতে না-পারায় আন্দ্র রাসেল ও দীনেশ কার্তিককে কাঠগোরায় তুললেন বীরু৷

চিপকে মুম্বই ব্যাটসম্যানদের ১৫২ রানে অল-আউট করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল কেকেআর৷ এই স্বপ্ন আরও সত্যি হতে চলেছিল নাইটদের দুই ওপেনার নীতিশ রানা ও শুভমন গিলের দুরন্ত পার্টনারশিপ৷ ৮.৫ ওভারে ৭২ রান যোগ করেন দু’জনে৷ গিল ২৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন৷ গিল আউট হওয়ার পর একা দায়িত্ব নেন রানা৷ ১৫ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থেকে নাইটদের জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ প্রথম ম্যাচে ৮০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা বাঁ-হাতি ওপেনার ৪৭ বলে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন৷ কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় কেকেআর-এর মুম্বইকে হারানো স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়৷

নাইটদের জয়ের পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার৷ সেই পথেই নাইটদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি বাকিরা৷ শেষ পাঁচ ওভারে নাইটদের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩১ রান৷ হাতে ছ’ উইকেট৷ এই অবস্থায় স্বপ্নেও ম্যাচ জয়ের কথা ভাবেনি মুম্বই৷ কারণ তখন ক্রিজে ছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ও অল-রাউন্ডার শাকিব আল হাসান৷ প্যাড পরে তৈরি রাসেল৷ কিন্তু এই ম্যাচও জিততে পারেনি কেকেআর৷ শেষ পাঁচ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০ রান তুলতে সক্ষম হয় কলকাতা৷ রাসেল ১৫ বলে ৯ রান আউট হন৷ আর কার্তিক ১১ বলে ৮ রানে অপরাজিত৷

নাইটদের এই হারকে লজ্জাজনক অ্যাখ্যা দিয়ে রাসেল ও কার্তিকের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেহওয়াগ৷ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে জেতার পর ইয়ন মর্গ্যান বলেছিল, আমরা এরকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেলতে চাই৷ কিন্তু দেখে মনে হল না, আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল বলে৷ ওরা ভেবেছিল শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ জেতাব৷ কিন্তু তেমনটা হয়নি৷ তবে এদের আগে শাকিব আল হাসান, ইয়ন মর্গ্যান, শুভমন গিল এবং নীতিশ রানা প্রত্যেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করেছিল৷’

শাকিব আউট হওয়ার পর রাসেল যখন ক্রিজে আসেন, তখন নাইটদের জেতার জন্য দরকার ছিল ২৪ বলে ৩০ রান। হাতে ৫ উইকেট। ক্রুণাল পান্ডিয়ার বলে দু’বার জীবন ফিরে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাসেল৷ ১৫ বলে ৯ রান করে শেষ ওভারে যখন ফিরছেন, তখন নাইটদের ব্যাটিং আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে৷ প্রাক্তন অধিনায়ক কার্তিক শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকলেও ১০ রানে হারে কলকাতা৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।