জলপাইগুড়ি : বিজেপি নেতারা রাজ্যে প্রচারে এসে করোনা ছড়াচ্ছে। জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে এই অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত রাজ্যে তো বটেই সারা দেশেও করোনা আবার আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। এই রাজ্যে প্রচারে আসা যোগী আদিত্যনাথের করোনা ধরা পড়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগী আদিত্যনাথের নাম মুখে না এনে বলেন, “রাজ্যে দিল্লি থেকে সব প্রচারে আসছেন আর রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারের সভা থেকে বলেন, “গুজরাটের সুরাটে বিজেপি পার্টি অফিস করোনা টিকা দেওয়া হইয়াছে। এসব ডাক্তারদের বোঝার বিদ্যায়, পার্টি ওয়ার্কাররা এর কী বোঝেন? এসব পার্টি ওয়ার্কারদের কাজ নয়।”
গত বছর রাজ্যে করোনা থাবা বসানোর সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সারতে গোল দাগ কেটে কী ভাবে মানুষ। চলবেন, দোকান, বাজার করবেন সেটা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “এখন রোজ রাজ্যে আসছেন বিজেপির সব নেতারা। কোরোনার সময় কোথায় ছিলেন? সব ঘরে ঢুকে বসেছিলেন। কাউকে এক বছর বাইরে দেখিনি।আমি রাস্তায় গোল্লা কেটে দিয়েছি। কাউকে রাস্তায় দেখিনি। এখন রোজ রাজ্যে আসছেন সভা করতে । আর করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছেন।করোনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন।”
প্রসঙ্গত প্রায় সবকটি নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “রাজ্যে করোনা রোজ আবার বাড়ছে। আমি ফেব্রুয়ারী মাসের ১২ তারিখ দিল্লিতে চিঠি লিখে বলেছিলাম আমি রাজ্যের সব মানুষকে করোনা টিকা বিনা পয়সায় দেব। আমি কেন্দ্রের কাছে বলেছিলাম আমি টাকা দিয়ে টিকা কিনে নেবো। আমায় কেন্দ্র সেই টিকা দেয়নি।”
এদিন জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী রোজ ভেঙাচ্ছে। কোথায় কমিশন তাঁকে ব্যান করেছে? আর আমায় ২৪ ঘণ্টা সভা করা বন্ধ করে দিলো। ৭২ ঘণ্টা শীতলকুচি যেতে দেয়নি। আমার মোট ৯৬ ঘণ্টা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি শুধু বলেছিলাম, সব মানুষ জোটবদ্ধভাবে ভোট দিন। তাতে দশ কোথায়?”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.